প্রয়াত আলিয়া ভাটের দাদু নরেন্দ্র রাজদান।বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত সপ্তাহে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন মেয়ে সোনি রাজদান। বৃহস্পতিবার দাদুকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ আলিয়া। সামাজিক পাতায় প্রয়াত দাদুর উদ্দেশ্যে একটি হৃদয়ছোঁয়া বার্তাও তিনি লিখেছেন।
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আলিয়ার দাদু, তা মারাত্মক আকার ধারণ করায় শেষরক্ষা হল না।দাদুর মৃত্যুর খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সময় দাদুর ৯২তম জন্মদিনের কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নেন আলিয়া।
লেখেন, ‘আমার দাদু, আমার হিরো। ৯৩ বছর বয়সেও গলফ খেলেছেন। কাজ করেছেন ৯৩ বছর পর্যন্ত। সেরা অমলেট বানাতেন। আমাকে সেরা গল্প শোনাতেন, ভায়ালিন বাজাতেন। নিজের পপৌত্রী (রাহা)-র সঙ্গে খেলা করতেন। ক্রিকেট ভালোবাসতেন, আঁকতে ভালোবাসতেন আর সর্বোপরি নিজের পরিবারকে ভালোবেছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত…. জীবনকে ভালোবেসেছেন! আমার হৃদয় বিষাদে ভরপুর, একই সঙ্গে আনন্দে… কারণ আমার দাদু একটাই কাজ করেছেন, আমাদের আনন্দ জুগিয়েছেন। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং আর্শীবাদধন্য যে ওঁনার ছত্রছায়ায় বড় হতে পেরেছি। আবার দেখা না হওয়া পর্যন্ত….’। ভিডিয়োয় দেখা গেল সপরিবারে জন্মদিনের কেক কাটছেন আলিয়ার দাদু। কেকের উপর লাগানো মোমবাতি হাতে করে নেভাতে সাহায্য করছেন রণবীর। এরপর তাঁর দাদুর বার্তা, ‘সব সময় হাসতে থাকো’।
দিন কয়েক আগেই আইফা অ্যাওয়ার্ডের আসরে যোগ দিতে আবু ধাবি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল আলিয়ার। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন রণবীর ঘরণী। এয়ারপোর্টে পৌঁছেও দাদুর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে শুনে হাসপাতালে ছোটেন আলিয়া। দুঃসময়ে পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছেন অভিনেত্রী। এর জন্য আয়োজকদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে পুরস্কারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আলিয়া।