এমনিতে তৃণমূলের উৎসবে পার্বণে অপরাজিতা আঢ্যকে দেখা যায় না। দিদির মঞ্চে সেলিব্রিটির ঠেলাঠেলির মধ্যেও তাঁকে বিশেষ দেখা যায়নি। সেই অপরাজিতা শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়লেন। ডুব দিয়ে খুঁজে আনলেন ত্রিশ বছরের পুরনো স্মৃতি, যা তাঁর কাছে এখনও মণিমুক্তের মতো।
অপরাজিতার কথায়, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসম্ভব ভালবাসি,”। কেন ভালবাসেন? তাঁর কথায়, “৯২ সাল থেকেই ভালবাসি। আমাদের ওখানে ডুমুরজলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হচ্ছিল। সেই সময়ে তাঁর বিরোধী (পড়ুন সিপিএম) আধলা ইট ছুড়ছিল। তখন যারা রুলিং পার্টি ছিল, তাদের হয় লোকে ভয় পেত না হলে ওই পার্টিটাই করত। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতাম”।
অপরাজিতা আঢ্যর বেশ কয়েকটি সিরিয়াল মমতাও দেখেছেন। প্রশংসাও করেছেন। এদিন অপরাজিতা বলেন, “আমি এখনও ওনার কথা শুনি। ওনার দু-একটা কথা নিয়ে মিম হয় ঠিকই। কিন্তু ওনার কথা কেউ মন দিয়ে শুনলে বুঝতে পারবেন তা খুব মিনিংফুল।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার প্রকল্পেরও প্রশংসা করেছেন অপরাজিতা। তাঁর কথায়, “মেয়েদের তো কেউ কিছু দেয় না। আমি জানি গ্রামে মেয়েদের কী অবস্থা। অনেকে বলতেন, পাঁচশ হাজার টাকায় কী হয়! গ্রামের মেয়েদের কাছে তা অনেক টাকা। তারা অন্তত একটা পেটিকোট বা ব্লাউজ কিনতে পারে এই টাকায়। তা ছাড়া শুধু লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার কেন, কন্যাশ্রী ইত্যাদি আরও প্রকল্প তো আছে। মেয়েদের কেউ কিছু দিলেই আমার ভাল লাগে”।