সদ্য এ আর রহমানের তিন দশকের দাম্পত্য ভেঙেছে। বুধবার সোশাল মিডিয়ায় আচমকাই মিউজিক মায়েস্ত্রোর ডিভোর্সের (AR Rahman, Saira Banu) খবর শুনে যেন বাজ পড়ে ভক্তদের মাথায়! পাশাপাশি শুরু হয়, পরকীয়ার গুঞ্জনও। সেই জল্পনা পেরিয়ে এখন সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু! খোরপোশ হিসেবে রহমানের বিপুল সম্পত্তির কত ভাগ পাচ্ছেন স্ত্রী সায়রাবানু? কৌতূহলের অন্ত নেই!
সূত্রের খবর, রহমান কমবেশি ১,৭২৮ কোটি টাকার মালিক এবং তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২০০০ কোটি টাকা। চর্চায় এমন কথাও শোনা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী সুরকারের বিপুল সম্পত্তির অর্ধেক অংশ নাকি তাঁর স্ত্রী পাবেন। সেই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন আইনজীবী বন্দনা শাহ।
সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, “ভারতীয়দের ধারণা, বিচ্ছেদের পর ভরপোষণের জন্য স্বামীর মোট সম্পত্তির অর্ধেক অংশ বিচ্ছিন্ন স্ত্রী পাবেন। এই ধরনের কোনও আইন এখনও নথিভুক্ত হয়নি। এই আইন তাই রহমান-সায়রা বানুর ক্ষেত্রেও একই ভাবে প্রযোজ্য নয়।” তিনি আরও জানিয়েছেন, আদালতে সুরকার-শিল্পী তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়েছেন। এ বার সায়রা বানু যা দাবি করবেন, সেটি পরিস্থিতি অনুযায়ী আদালত বিবেচনা করবে। আইনজীবীর সংযোজন, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রীরা সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা পান না। এই আইনি প্রক্রিয়া চলতে একটু সময় লাগে। তাই রায় দানের আগে আদালত তথ্যপ্রমাণাদি যাচাই করে। যদিও এ আর রহমান এবং সায়রাবানু বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে খোরপোশের প্রশ্নই ওঠে না।”
ডিভোর্স আইনজীবী হিসেবে বেশ খ্যাতনামা বন্দনা। তিনিই রহমান এবং সায়রার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাটি দেখছেন। তিনি প্রথমেই জানিয়েছিলেন যে, “২৯টা বছর সংসার করার পর ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেওয়া সায়রা-রহমান দুজনের জন্যই কঠিন ছিল। বিশেষ করে ভারতের মতো দেশে সমাজের প্রচলিত ধ্যানধারণা বিবাহ বিচ্ছেদের জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেয়।”