বলিউডে একের পর এক সুপারহিট গান তাঁর গলায়৷ কোটি কোটি টাকার রোজগার৷ তা বলে মাটির কাছাকাছি হয়ে যদি কেউ থাকতে চায় কে তাকে টলাতে পারে৷ অরিজিৎ সিং নিজের পাড়ায় একেবারে সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির কেতাতেই থাকেন৷ না থাকে কোনও চাকচিক্য না মিথ্যা গ্ল্যামারের চশমা থাকে তাঁর চোখে৷ তিনি একেবারে ঘরের ছেলে, একেবারে পাড়ার ছেলে৷
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অরিজিতের একটি ভিডিয়ো। সেখানে হাসিমুখে পড়শিদের খোঁজখবর নিতে দেখা গেল অরিজিতকে। হাতে একটি প্যাকেট নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে হেঁটে এলেন অরিজিৎ, পরনে সবুজ রঙা ঢলা প্যান্ট ও ছাই রঙা টি-শার্ট। উলটো দিকে দাঁড়ানো প্রতিবেশীদের দেখে হাসিমুখে প্রশ্ন, ‘ভালো আছো সবাই?’ সম্মতি জানিয়ে উলটো দিক থেকে প্রশ্ন গেল অরিজিতের কাছে। ‘তুমি ভালো আছো?’ গায়কের সটান জবাব- ‘এই চলে যাচ্ছো গো’। আজ বৌদির (কোয়েল) দেখা নেই কেন? এমন প্রশ্ন শুনে হাসিমুখে অরিজিত বললেন, ‘ও এখন রক্ত দিতে গেছে.. তাই এলো না’। তারপর স্কুটিতে স্টার্ট দিয়ে বলে উঠলেন, ‘এই চলছে, আর দাঁড়াতে পারব না’।
সেই সঙ্গে ভাইরাল হল অরিজিতের রেস্তোরাঁ ছবি। আসলে জিয়াগঞ্জে একটি রেস্তরাঁ রয়েছে গায়কের। রেস্তোরাঁটির দেখভাল করেন গায়কের বাবা মসুরেন্দ্র সিং ওরফে কাক্কা সিং এবং হোটেলের ম্যানেজার রাজু। শিল্পীর খোঁজে জিয়াগঞ্জে আসছেন যারা, তাঁদের কাছে ঘোরার অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছে এই রেস্তরাঁ। যার নাম – ‘হেঁসেল’ (Henshel)।
সাধারণ মানুষদের পকেটের কথা মাথায় রেখে ‘হেঁশেল’ চালাচ্ছে গায়কের পরিবার। যাতে কম খরচেও পেট ভরে মানুষের। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০.৩০টা পর্যন্ত খোলা থাকে ‘হেঁশেল’। এখানে রয়েছে পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ছাড়। সোম থেকে শনিবার পড়ুয়াদের পরিবেশন করা হয় ৪০ টাকার ভেজ থালি। পড়ুয়াদের মধ্যে পার্সেলের ব্যবস্থাও রয়েছে।
তবে শুধুমাত্র ব্যবসার জন্যই রেস্তোরাঁটি খোলা হয়েছে এমনটা কিন্তু নয়!এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। গায়কের বাবা সুরেন্দ্র সিং বলেন, “হেঁশেল চালানো শুধু মাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য নয়। ২৯ জনকে কর্মসংস্থান দেওয়ার পাশাপাশি সস্তায় খাবার পরিবেশনই আমাদের মূল লক্ষ্য।”