‘রাহুলদার বাসায় আগুনের সঙ্গে তাঁর ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। এমন গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করছি।’ ফেসবুকে লিখেছেন ফ্যাশন হাউস খুঁতের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ফারহানা হামিদ। ৯ আগস্ট ফারহানা হামিদের পোস্টটি ‘জলের গানের’ (রাহুল আনন্দের ব্যান্ড) অফিশিয়াল পেজ থেকে শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘প্লিজ, লেখাটা পড়ুন ও সত্যটা জানুন।’
শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরই হামলা চালানো হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে। সেদিনই আগুনে পুড়ে ছাই হয় ‘জলের গান’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়ি। বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামের পাশেই থাকা সেই বাড়িতেও হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। কিন্তু এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করলেন ফারহানা হামিদ।
প্রসঙ্গত হাসিনার সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভেঙে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত নানা মূর্তিও। বেশ কিছু জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাও হয়েছে।
এরই সঙ্গে রাহুলের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাকেও অনেকেই ‘সাম্প্রদায়িক হামলা’ বলে প্রচার করেছেন। ফারহানা জানান, রাহুলের বাড়িটি বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম লাগোয়া। ওই যাদুঘরের পরে তাঁর বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
ফারহানা আরও লিখেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোথাও আগুন দেওয়ার পক্ষেই না। বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামের মতো দেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে আগুন দেওয়ার পক্ষে তো অবশ্যই না। এই সময়ে সংখ্যালঘুর ওপর আক্রমণের বিষয়ে আমি অবগত এবং এর ঘোর বিপক্ষে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতির কারণে আক্রমণ করা হয় নাই কিন্তু কোনো কারণে গুজব ছড়াচ্ছে আর সেই গুজবকে গুজব বলা যাবে না।’