যাঁরা ইতিমধ্যেই ‘কারাগার’ (Karagar) নামের ওয়েব সিরিজটি (Web Series) দেখে ফেলেছেন, তাঁরা জানেন ওই বন্দির চরিত্রে এমন একজন মানুষ অভিনয় করেছেন, যিনি এই মুহূর্তে এপার-ওপার দুই পারের বাঙালির কাছেই এক ‘সেনসেশন’ হয়ে উঠেছেন। তিনি চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury)। তিনি ও তাঁর অভিনীত ‘কারাগার’ নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় দুই বাংলা।
কারাগারে চঞ্চলের অভিনয় দেখে সৃজিৎ বললেন, “আপনার মতো শিল্পীর মূল্যায়ণ করার ধৃষ্টতা আমার নেই ৷ শুধু সাধারণ দর্শক হিসেবে মনে হল আপনি গোটা উপমহাদেশের গর্ব ৷” সামাজিক মাধ্যমে ওপার বাংলার কোনও অভিনেতার এমন প্রশংসা কলকাতার কোনও পরিচালক এর আগে করেছেন কি না সন্দেহ ৷ সৃজিতের চঞ্চল-স্তুতিকে তাই বিরলই বলা চলে ৷
গত 18 অগস্ট হইচই’য়ে মুক্তি পেয়েছে সৈয়দ আহমেদ শাওকি (Syed Ahmed Shawki) পরিচালিত নয়া ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’৷ যেখানে কারাগারে বন্দি বোবা এক আসামীর চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ৷ আর সিজন-1’এর সফল্যের পর চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী মরশুমের শুরুতে কারাগারের সিজন-2 আসার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ ৷
এই সিরিজটির কথা বলতে গেলে সবচেয়ে বেশি করে চঞ্চল চৌধুরীর কথাই যে বলতে ইচ্ছে করে। কোনও সংলাপ ছাড়া দৃশ্যের পর দৃশ্য জুড়ে কেবলই অভিব্যক্তি। উলটো দিকের সংলাপের প্রতিক্রিয়া। এইটুকুই সম্বল ছিল। মূলত চোখের ভাষাকে কাজে লাগিয়েই বাজিমাত করেছেন চঞ্চল। যা দেখে সৃজিত মুখোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘চঞ্চল চৌধুরীর চোখ কোনও অভিনয় শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের জন্য সংরক্ষণ করা উচিত।’