আজ ২রা মে, মহারাজা সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ১০২। বাংলার অন্যতম সেরা নক্ষত্র সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন আজ। সত্যজিৎ জন্মেছিলেন উত্তর কলকাতার গড়পার রোডে। রবীন্দ্রনাথের পর এমন আন্তর্জাতিক মানের বহুমুখী প্রতিভা পায়নি বাঙালি। সত্যজিতের সৃষ্টি অমর। তিনি আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়েছেন। চিনতে শিখেয়েছেন জগৎ। সত্যজিত রায়ের জন্মদিনে টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বিশেষ দিনে বিশপ লেফ্রয় রোডের বাড়ির দরজা সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। অস্কারজয়ী পরিচালককে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রায় বাড়িতে হাজির হন বহুজন। ২০২২ সালে করোনার প্রভাব থাকায় দূরত্ববিধি মেনে ঘরোয়াভাবে সত্যজিতকে কুর্নিশ জানানো হয়েছিল। একতলায় সত্যজিৎ রায়ের ছবি ফুলের মালা দিয়ে সাজানো হয়েছিল। তবে এ বছর আবার পুরনো মেজাজে সেজে উঠছে রায় বাড়ির অন্দরমহল। খুলে দেওয়া হয়েছে রায় বাড়ির দরজা।
সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায় বলেন, ‘আমরা কোনও বছরেই পরিকল্পনা করে কিছু করি না। বাড়ির দরজা খোলা থাকে। সকলে আসে। এবারেও তেমনটাই হয়েছে।’ ‘গত বছর একতলার একটি ঘর খুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার দোতলায় উঠতে পারছেন লোকজন। বাবার ঘর কখনওই খোলা হয় না। বাবার ঘরের পাশের কামরায় তাঁর ছবি দিয়ে সাজানো হয়। এবারও সেটা করা হয়েছে।’সত্যজিতের পুত্রবধূ ললিতা রায় বলেন, ‘রান্নার জন্য আমাদের ঠাকুর আছে। বাবার জন্মদিনে তাঁর পছন্দের জিনিসপত্র রান্না করা হয়। এবারও তাঁরাই রান্নাবান্না করছেন। ছোট করে যা করা যায় আরকি।’
চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরে সত্যজিৎ রায় ছিলেন একাধারে কল্পকাহিনী লেখক, প্রকাশক, চিত্রকর, গ্রাফিক নকশাবিদ ও চলচ্চিত্র সমালোচক।
বর্ণময় কর্মজীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন সত্যজিৎ রায়। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ১৯৯২ সালে পাওয়া অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বা অস্কার, যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন। ওই বছরেরই ২৩ এপ্রিল না ফেরার দেশে চলে যান বিখ্যাত এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।