রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) নন, আনা হোক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) । এই প্রস্তাব কার্যকর করতে আইন সংশোধনের কাজ শুরু করে দিল আইনসভা। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে। আইনি প্রক্রিয়াও দ্রুত শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। সংশোধিত আইনটি কার্যকর হলে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বা চ্যান্সেলর পদে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অর্থাৎ রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে রাজভবনের ঘেরাটোপ থেকে বের করে আনতে তৎপর হল সরকার।
আরও পড়ুন: Monkey Pox: আতঙ্কের নাম মাঙ্কি পক্স, রাজ্যে ‘সন্দেহভাজন’ কেউ ঢুকলেই বেলেঘাটা আইডিতে নিভৃতবাস
বস্তুত, বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যপাল এবং সরকারের সঙ্ঘাত পশ্চিমবঙ্গে নতুন নয়। শিক্ষাক্ষেত্রেও এই সঙ্ঘাত বারবার চরমে পৌঁছেছে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপাল বৈঠক করতে চাইলেও উপাচার্যরা যাননি। তার পর প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল। এ ছাড়া উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে সঙ্ঘাত বাধার নজির রয়েছে রাজ্যের। এমন আবহে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালকে সরানোর ভাবনা-চিন্তা বহু আগেই শুরু হয়েছিল সরকারের অন্দরে। তখনই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকেই ভাবতে চলেছে সরকার।
Today we have taken a decision that all state-run universities will have the CM – and not Governor – as the Chancellor. This will be taken to the Assembly for the Act to be amended: West Bengal Minister Bratya Basu
(File photo) pic.twitter.com/4ExFwkcvo2
— ANI (@ANI) May 26, 2022
২০১০ সালে এই সুপারিশ করেছিল পুঞ্ছি কমিশন। রাজনাথ সিং ছিলেন সেই কমিশনে। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু ও কেরল এই বিধি গ্রহণ করেছে। ২০০৭ সালে মদনমোহন পুঞ্ছির নেতৃত্বে কমিটি গঠিত হয়। ২০১০ সালে কমিটি রিপোর্ট দেয়। কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা সহ একাধিক বিষয়ে সুপারিশ করে কমিটি। একগুচ্ছ সুপারিশের মধ্যে ছিল এই সুপারিশটিও।
আরও পড়ুন: Rain Alert: কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঝড়-বৃষ্টি, সাবধানবাণী হাওয়া অফিসের