Coke Studio Bangla: Murir Tin from Coke Studio season 2 pays tribute to regional dialects

Coke Studio Bangla: ভিউ প্রায় ৮.৮ মিলিয়ন! আঞ্চলিক ভাষার জাদু ‘কোক স্টুডিয়ো বাংলা’য়

বাংলা গানকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে নতুন ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয়েছিল ‘কোক স্টুডিয়ো বাংলা’। ‘চিলতে রোদ’, ‘দখিন হাওয়া’, ‘সব লোকে কয়’-এর মতো ভিন্ন ধারার গান পরিবেশন করে প্রথম সিজনেই শ্রোতাদের মন জয় করেছিল এই অনুষ্ঠান। মূলত বাংলাদেশে তৈরি হওয়া এই সিরিজ পরিবেশনার মূল দায়িত্বে ছিলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সায়ন চৌধুরী অর্ণব। দ্বিতীয় সিজনে ‘মুড়ির টিন’ গান নিয়ে ফিরল ‘কোক স্টুডিয়ো বাংলা’। এক দিনেই ১৫ লক্ষ এক দিনেই ১৫ লক্ষ শ্রোতার মন ছুঁয়েছে বাংলাদেশের আঞ্চলিক উপভাষার এই গান। ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়া এই গানটির এই মুহর্তে ভিউ প্রায় ৮.৮ মিলিয়ন।

আঞ্চলিক ভাষার কারণে কথাগুলো বোঝা যাক বা না-যাক, এখন লাখ লাখ সংগীতপ্রেমী তাল মেলাচ্ছেন গানটির তালে। এরই মধ্যে অনেকের প্লে-লিস্টে জায়গা করে নিয়েছে ‘মুড়ির টিন’ শিরোনামের গানটি। গানটির মাধ্যমে শ্রোতা-দর্শকদের নজর কেড়েছেন সংগীতশিল্পী রিয়াদ হাসান। তিনি এ গানের গীতিকার ও সুরকারও। রিয়াদ হাসান বলেন, ‘গান গাওয়া আর লেখার চেষ্টা করছি অনেক দিন ধরে। প্রমিত বাংলায় গান লিখছি। আমার বাড়ি চট্টগ্রামে। কালুরঘাটে আমার বেড়ে ওঠা। তাই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার প্রতি অন্য রকম একটা টান তো আছেই। সেই টানেই নিজ এলাকার ভাষায় গান লেখা-সুর করা এবং গাওয়া। মুড়ির টিন আমাদের যাপিত জীবনের গল্প।’

আরও পড়ুন: Pathaan in Bangladesh: পাঠান মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশে! জানালেন খোদ কিং খান, জানুন দিনক্ষণ

তিনি জানান, কালুরঘাটের মতো একটি উপশহরে তিনি নিজে ছিলেন এবং সেখানকার বাসযাত্রা দেখেছেন। সাধারণত লোকাল বাসগুলো যেমন হয়, যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে যাওয়া, গাদাগাদি, যাত্রীর চেঁচামেচি ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে যখন ভাবলেন, তখন মনে হলো, এটা নিয়ে গান লেখা যায়। রিয়াদ বলেন, ‘এই গান যতটা না গান, তার চেয়ে বড় বিষয়, এটা আমার জন্য একটা আনন্দের জার্নি।

গানটি প্রাথমিকভাবে সুরারোপের ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারার বাইরে করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমেরিকান কান্ট্রি মিউজিকের ধাঁচে মিউজিক দেওয়া হয়েছে। সংগীত পরিচালনা করেছেন শুভেন্দু দাস শুভ। গানটির খুলনার ভাষার গায়ক ছিলেন তৌফিক আহমেদ। আর সিলেটের ভাষায় গেয়েছেন পল্লব।’

‘কেউ উঠে, কেউ নামে, কেউ থামে… ’ এ লাইনগুলো দিয়ে সিলেটি ভাষায় আমি মানুষের জীবনের উত্থান-পতন এবং মৃত্যুর কথাই বুঝিয়েছি। ভুল মানুষের সঙ্গে মিশে সুরমা নদীতে পড়ে যাওয়া মানে জীবনের অধঃপতন—পুরো বাসজার্নিটাকে আমি জীবনের জার্নির সঙ্গে তুলনা করেই গেয়েছি,’ বললেন র‍্যাপার পল্লব। ‘মুড়ির টিন’ গানের আরেক র‍্যাপার তৌফিক আহমেদ বলেন, ‘খুলনায় ড্রাইভারকে ‘‘পাইলট’’বলে। এই পাইলট ধীরে চালালেও সমস্যা, দ্রুত চালালেও সমস্যা। তো উনি করবেনটা কী? চালকের হয়ে চালকের দুঃখের কথা গানে গানে বলে দিয়েছেন তৌফিকই, নিজ এলাকার ভাষায়।’

আরও পড়ুন: Sushmita Sen: হৃদরোগে আক্রান্ত সুস্মিতা সেন! এখন কেমন আছেন?