দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার ধনুষ এবং ঐশ্বর্য রজনীকান্তের বিয়ে ভাঙার খবর দীর্ঘদিন ধরেই ছিল চর্চায়। এ বার আনুষ্ঠানিকভাবে আইনি বিচ্ছেদে সিলমোহর দিলেন তাঁরা। ২০২২ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর রটলেও, এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে আদালত অনুমোদন দিয়েছে বিষয়টিকে।
দু’বছর ধরে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছিলই। আলাদা থাকছিলেন খ্যাতনামী দম্পতি । খবর, পাকাপাকি বিচ্ছেদের আগে দু’জনে দু’জনকে সময় দিয়েছিলেন। একটা সময়ের পরে উভয়েই বুঝতে পারেন, আর এক ছাদের নীচে জীবন যাপন সম্ভব নয়। এর পরেই চলতি বছরের শুরুতে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ধনুষ। যদিও আদালত চত্বরে দেখা দেননি কেউই। বদলে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে হাজিরা দেন তাঁরা। ২১ নভেম্বর প্রথম চেন্নাইয়ের পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদ চেয়ে উপস্থিত উভয়ে। বিচারক তাঁদের বক্তব্য শুনে ২৭ নভেম্বর চূড়ান্ত রায় দেন। খবর ছড়াতেই বিষণ্ণ অনুরাগীরা। ধনুষ-ঐশ্বর্যার দুই ছেলে যাত্রা আর লিঙ্গ। ছাদ আলাদা হলেও সন্তানদের দেখভাল তাঁরা এক সঙ্গেই করবেন, এ কথা জানিয়েছেন উভয়েই।
ধনুষ এবং ঐশ্বর্যর প্রেম একটি ছবির প্রচারের সময় শুরু হয়েছিল। ঐশ্বর্য সেই সময় ধনুষের ছবি ‘কোন্দাল কোন্দন’-এর প্রচারেও অংশ নিয়েছিলেন। ধনুষের অভিনয় ঐশ্বর্যর এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে তিনি পরের দিন তাঁকে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছিলেন। এরপরেই তাঁদের দু’জনের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং তাঁরা প্রেমে পড়েন। ২০০৪ সালে বিয়ে করেছিলেন এই দম্পতি।
এক যুগেরও বেশি সময় দাম্পত্য কাটানোর পর ২০২২-এ উভয়ে সমাজমাধ্যমে জানান, ১৮ বছর ধরে এক সঙ্গে জীবনের ভালমন্দ ভাগ করেছেন তাঁরা। পাশে পেয়েছেন দুই পরিবার, পরিজন, অজস্র বন্ধু এবং অসংখ্য অনুরাগীদের। তার পরেও আর এক সঙ্গে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। জোর করে ভাঙা সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে যেতে রাজি নন তাঁরা। বরং আগামীতেও যাতে বন্ধুত্ব অটুট থাকে এই ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্ত সন্তানদের উপরে কোনও প্রভাব ফেলবে না।