ধনুষ ও নয়নতারার বিবাদ অব্যাহত। এ বার দক্ষিণের ‘লেডি সুপারস্টার’-এর বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা করলেন অভিনেতা-প্রযোজক ধনুষ। অভিযোগ, নয়নতারা তাঁর তথ্যচিত্রে ধনুষ প্রযোজিত ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমার ছবি, ভিডিয়ো ব্যবহার করেছেন কোনও অনুমতি ছাড়াই।
‘দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদন অনুযায়ী মাদ্রাজ হাইকোর্টে নয়নতারা ও তাঁর স্বামী পরিচালক ভিগ্নেশ শিবানের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছেন ধনুষ।বিষয়টি নিয়ে নয়নতারা ও তাঁর স্বামী ভিগনেশকে আগেই ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের নোটিস পাঠিয়েছিলেন ধনুষ। এবার তারকা দম্পতির বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অভিনেতা-প্রযোজক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধুনষের ‘ওয়ান্ডারবার ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর তরফে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের করা হয়েছে নয়নতারা, ভিগ্নেশ ও তাঁদের ‘রাউডি পিকচারস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর বিরুদ্ধে। নয়নতারার ডকু-ড্রামা ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারিটেল’-এ নয়নতারা অভিনীত ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমা থেকে কিছু নির্দিষ্ট ভিস্যুয়াল ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
ধনুষের কোম্পানি Los Gatos Production Services India LLP নামক সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য হাইকোর্টে অনুরোধ করে একটি আবেদনও করেছে। এই সংস্থার মাধ্যমে নেটফ্লিক্স ভারতে তাদের কনটেন্টে বিনিয়োগের রিপোর্ট করে। আদালত ইতিমধ্যেই সেই অনুমতি দিয়েছেন। সূত্রের খবর, পরবর্তী শুনানিতে নয়নতারাকে উত্তর দিতে হবে।
নেটফ্লিক্সে দেখা যাচ্ছে ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারি টেল’। অভিনেত্রীর অভিযোগ, এই তথ্যচিত্রের জন্য ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া তামিল সিনেমা ‘নানুম রাউডি ধান’-এর ৩ সেকেন্ডের ঝলক ব্যবহার করার অনুমতি তিনি চেয়েছিলেন। কারণ ধনুষ ছবিটির প্রযোজক। কিন্তু দিনের পর দিন এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন ধনুষ।এরপর সেই ছবির ‘বিহাইন্ড দ্য সিনস’ থেকে ৩ সেকেন্ডের ফুটেজ ব্যবহার করা হলে ভিগ্নেশ-নয়নতারার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিস পাঠান ধনুষ। যার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হন অভিনেত্রী। কিছু দিন আগে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রির এক বিয়েতে দেখা যায়। সেখানেও একে অন্যকে এড়িয়েই যান নয়নতারা ও ধনুষ, ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো।
‘নানুম রাউডি ধান’ ২০১৫ সালে মুক্তি প্রাপ্ত একটি তামিল ছবি। সেই সেটেই একে অন্যের প্রেমে পড়েন নয়নতারা ও ভিগ্নেশ। সম্পর্ককে পরবর্তী ধাপে নিয়ে গিয়ে ২০২২ সালে বিয়ে সারেন তাঁরা।