Jiah Khan Death Case: Actor Sooraj Pancholi acquitted due to ‘paucity of evidence’

Jiah Khan Death Case: প্রমানের অভাব, জিয়া খান মৃত্যু মামলায় বেকসুর খালাস প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলি

বলি অভিনেত্রী জিয়া খান (Jiah Khan) আত্মহত্যা মামলায় অভিযুক্ত প্রেমিক সূরজ পাঞ্চোলিকে (Sooraj Pancholi) বেকসুর খালাস করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানের (Jiah Khan Suicide Case Verdict) আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন সুরজ। শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত জিয়া খান মামলায় সুরজকে নির্দোষ ঘোষণা করা মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট আদিত্য পাঞ্চোলি পুত্রের। ইনস্টগ্রামে লিখলেন, ‘সত্যের জয় হয় সব সময়’।

অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি ও অভিনেত্রী জারিনা ওয়াহাবের ছেলে সুরজ পাঞ্চোলি। জিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সুরজ। অভিনেত্রীর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে সুরজের সঙ্গে প্রেমের কথা উল্লেখ করেন জিয়া। অভিনেত্রী মা দাবি করেন, এটা আত্মহত্যা নয়, জিয়াকে খুন করেছে সুরজ। তবে দীর্ঘ ১০ বছর পর এই মামলার রায়ে বিচারপতি এএস সায়াদ বলেন যে, যথাযথ প্রমাণের অভাবে ৩২ বছর বয়সী সুরজ পাঞ্চোলিকে বেকসুর খালাস করা হল। এই মামলায় দোষী প্রমাণ হলে ১০ বছরের জেল হত অভিনেতার। এদিন মাকে সঙ্গে নিয়েই আদালতে হাজির হয়েছিলেন সুরজ। এদিন বিচারক এএস সৈয়দ রায় ঘোষণার সময় জানান, ‘তোমার (সূরজ) বিরুদ্ধে যা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তা উপযুক্ত নয়, তাই তোমাকে রেহাই দেওয়া হল সমস্ত অভিযোগ থেকে’।

মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী জিয়া খান (Jiah Khan)। ২০১৩ সালের ৩রা জুন জিয়ার মৃত্যুর খবর নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। অভিনেত্রীর ফ্ল্য়াট থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রেমিক সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। তখনও বলিউডে পা দেননি আদিত্য় পাঞ্চোলি-জারিনা ওয়াহাব পুত্র।

আরও পড়ুন: Kirtan Official Trailer: বাঙাল শ্বশুর-ঘটি বউমার জোর লড়াই, প্রকাশ্যে ‘কীর্তন’ এর ট্রেলার

জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারও হন সূরজ, পরে জামিনে মুক্তি পান সলমন খানের ‘হিরো’। শুরু থেকেই জিয়ার মা রাবিয়া খানের অভিযোগ ছিল খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে, পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রাবিয়া। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে জিয়ার মৃত্যুর প্রায় এক বছর পর ২০১৪ সালের ৩রা জুলাই মুম্বই পুলিশের হাত থেকে সরে সিবিআইয়ের জিম্মায় যায় এই মামলা। বছর দুয়েক পর অর্থাৎ ২০১৬ সালে সিবিআই জানায় আত্মহত্যাই করেছেন বলি-নায়িকা। ফাউল প্লে-র সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ জিয়ার মা রাবিয়া খান।

২০১৯ সালে সেশন কোর্টে এই মামলার বিচার পর্ব শুরু হয়েছিল বটে কিন্তু তা খুব বেশি দূর এগোয়নি। দীর্ঘ আট বছর ঝুলে থাকার পর ২০২১ সালের জুলাই মাসে জিয়ার আত্মহত্যার মামলা সেশন কোর্ট থেকে সরে যায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। আজ সেই মামলারই রায় জানাল আদালত। জিয়া আত্মহত্যার পর প্রয়াত অভিনেত্রী সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেটাই ছিল এই মামলার মূল ভিত্তি। ওই চিঠিতে সূরজের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন জিয়া। এই মামলায় প্রায় ২২জন সাক্ষী আদালতে সূরজের বিরুদ্ধে বয়ান দেন। তবে শুরু থেকেই সূরজের দাবি ছিল তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিনেতার কথায়, ‘আমি জিয়াকে ভালোবেসেছি, ও আমার কাছে ভগবানের দেওয়া সেরা উপহার’।

২০০৭ সালে অমিতাভ বচ্চন সঙ্গে নিঃশব্দ ছবির সঙ্গে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন জিয়া খান।নিঃশব্দের পর আমির খানের গজনী এবং হাউজফুল (২০১০) ছবিতে অভিনয় করেন জিয়া।

আরও পড়ুন: Tollywood: পরমব্রতর পরিচালনায় অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী