Karar Oi Louho Kopat: AR Rahman's Rendition Of Bengali Poet Nazrul Islam's Patriotic Song Sparks Outrage

Karar Oi Louho Kopat: রহমানের ‘লৌহ কপাটে’ ক্ষুব্ধ কাজী পরিবার, হুঁশিয়ারি আইনি পদক্ষেপের

‘পিপ্পা’ সিনেমা রিলিজের পর থেকেই সংবাদের শিরোনামে এ আর রহমান। ছবির গুণগত মানের থেকেও তুলনামূলক আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ (Karar Oi Louho Kopat)-এর রিমেক ভার্সন। কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’কে যেভাবে নিজের আঙ্গিকে পরিবেশন করেছেন রহমান, তা শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ চুরুলিয়ার মানুষ। চুরুলিয়ার কাজী পরিবারের এবং নজরুল অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। গানটি প্রত্যাহার না করলে আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কাজী পরিবার।

কবির ভ্রাতুষ্পুত্র ও চুরুলিয়া নজরুল অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা কাজী রেজাউল করিম জানিয়েছেন, “এই ঘটনা খুব দুঃখজনক। আগুন নিয়ে খেলা করছেন রহমান সাহেব” বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি নজরুল অ্যাকাডেমির সদস্য ও কবির নাতনি সোনালী কাজী প্রশ্ন তোলেন, “এই কাজটি করার আগে কারও সঙ্গে কথা বলেছিলেন উনি? অতীতে যখন মহম্মদ রফি ও অনুপ জালোটা কাজী নজরুল ইসলামের গান বা নজরুল গীতি গিয়েছিলেন তখন কল্যাণী কাজীর তত্ত্বাবধানে গেয়েছিলেন। মূল সুর পরিবর্তন হয়নি। তাই কোনও বিতর্ক হয়নি। আপামার বাঙালি সেই গানকে মেনে নিয়েছেন এবং জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। কিন্তু রহমান সাহেব যেটা করেছেন তা অনৈতিক ও বেআইনি কাজ করেছেন। বহুদিন আগের একটা গান কোন অধিকারে তিনি বদলে দিতে পারেন, এটাই এখন আমাদের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।”

অন্যদিকে, নজরুল ইসলামের নাতনি তথা প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কল্যাণী কাজীর কন্যা সমাজমাধ্যমে একটি বক্তব্য প্রকাশ করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন।শনিবার ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন অনিন্দিতা। সেখানে বিতর্কের পাশাপাশি তিনি মূল গানের স্বত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনিন্দিতা লিখেছেন, ‘‘আমি অনিন্দিতা কাজী ,কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি, বর্তমানে নিউ জার্সি প্রবাসী। দাদুর ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটির সুরবিকৃতি ঘটিয়েছেন বিশিষ্ট গীতিকার সুরকার শিল্পী এ আর রহমান। গোটা বিশ্ব জুড়ে বিতর্কের ঝড়, তোলপাড়। আমার মা কল্যাণী কাজী, যাঁর বেঁচে থাকাই ছিল নজরুলকে নিয়ে, নজরুলকে ঘিরে, নজরুলকে তিনি ধারণ করেছিলেন… তিনি ২০২১ সালে গানটি অবিকৃত রেখে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন বলে জানতে পারি। কিন্তু এর পরিণতি এমন হবে, তিনি মৃত্যুর পরেও ভাবতে পারেননি বোধ হয়।’’

এরই সঙ্গে অনিন্দিতা তাঁর পোস্টে জানান যে অনেকেই নাকি প্রশ্ন তুলেছেন, প্রচুর টাকার বিনিময়ে গানটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অনিন্দিতা লেখেন, ‘‘সে ক্ষেত্রে ২০২১ সালে কী এগ্রিমেন্ট হয়েছিল সেটা জানা খুব প্রয়োজন, তা হলে সব বিতর্কের অবসান হবে। এবং যাঁরা এগ্রিমেন্ট-এর বিপক্ষে গিয়ে এই কাজটি করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।’’ অনিন্দিতা জানান, সংবাদমাধ্যম মারফত তিনি জানতে পারেন, চুক্তির কাগজ রয়েছে তাঁর ভাই কাজী অনির্বাণের কাছে। অনিন্দিতা লেখেন, ‘‘পরিবারের অন্যতম সদস্য হিসেবে আমি সেটা দেখতে চাই, পেতে চাই ও বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। সকলের সহযোগিতা চাইছি।’’