রান্নাঘরের খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁর ছিল অগাধ জ্ঞান। অচিরেই তকমা পেয়েছিলেন ‘কিচেন কুইন’। রান্নাঘরের সম্রাজ্ঞী আর নেই। প্রয়াত শুক্লা মুখোপাধ্যায়। গতকাল শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছিল তাঁকে। এর আগেও বার কয়েক হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল শুক্লাদেবীকে। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হল না। বুধবার রাতেই প্রয়াত হন তিনি।
অভিনব বেশ কিছু কায়দার জন্যই রন্ধনশিল্পী হিসাবে পরিচিত ছিলেন শুক্লা। প্রথাগত বাঙালি রান্নায় ছোটখাটো বদল এনে পদগুলির স্বাদ একেবারে অন্য রকম করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল তাঁর। খাদ্যপ্রেমীদের বারবার নিজের এই দক্ষতায় চমকে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Katrina Kaif: ‘গোল্ডেন আওয়ারে’ ভিকির হাতে হাত ক্যাটের, মালদ্বীপে চাঁদের হাট
রান্না ছিল তাঁর নখদর্পণে। যে কোনও ধরনের সবজি দিয়েই করে ফেলতেন চমকপ্রদ সব পদ। শুক্লা দেবীয় আত্মীয় একই সঙ্গে যোগ্য উত্তরসূরী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল টিভিনাইন বাংলা। সুদীপার কথায়, “এ মাসের ৮ তারিখ ওঁর জন্মদিন ছিল। এত ব্যস্ত ছিলাম যে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম। সেটাই আজ সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে।” ধরা গলায় সুদীপা যোগ করেন, “রান্নাঘরের একদম জন্মলগ্ন থেকে তিনি সঙ্গে ছিলেন। তখন রান্নাঘরের এত বাজেট ছিল না। উনি নিজেই ৩-৪টে মোচা কিনে আনতেন। তারপর নিজেই মাথা খাটিয়ে মোচা দিয়েই তিন-চার রকমের পদ ভেবে ভেবে তৈরি করতেন।” তবে শুধু মোচা নয়। পটলের খোসা থেকে আলুর খোসা– তাঁর হাত ধরেই ফেলে দেওয়া জিনিসও হয়ে উঠত সুস্বাদু।
রান্নার সূত্রে নিজে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেলেও, তাঁ ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সেভাবে কোথাও কিছু জানাননি শুক্লা মুখোপাধ্যায়। সেই কারণেই এখনও তাঁর মৃত্যু নিয়ে বেশ কিছুটা ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। রান্নার পাশাপাশি, বিষয়টি নিয়ে জ্ঞান এবং তার সঙ্গে খোসমেজাজে দেদার আড্ডা— সব মিলিয়ে আসর জমিয়ে রাখতেন এই রন্ধনশিল্পী। তাঁর মৃত্যু তাই যেন আরও বেশি করে শোকস্তদ্ধ করে দিয়েছে অনুরাগীদের।
আরও পড়ুন: Mir Afsar Ali: রেডিও ছাড়ার ২১ দিন! নিজের নতুন পেশার সুখবর দিলেন মীর