শ্রোতাদের কাছে তিনি সকালম্যান। তাঁর কণ্ঠ শুনেই সকাল শুরু হয় তিলোত্তমার। রেডিওতে তাঁর গলা শুনে কাজে বেরোন অনেকেই। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ মানেই মির্চি (Radio Mirchi) ও মীর (Mir Afsar Ali)! কিন্তু, আর সেই কণ্ঠ শোনা যাবে না… মির্চির সঙ্গে দীর্ঘ যাত্রাপথ শেষ হল মীরের।
শুক্রবার সকালে নেটমাধ্যমে নিজের পুরনো একটি ছবি পোস্ট করেন মীর। ছবিটা আকাশবাণীতে তাঁর প্রথম দিনের। ক্যাপশনে জানিয়েছেন, ‘৬ অগস্ট ১৯৯৪ সাল থেকে ৩০ জুন ২০২২। রেডিওর সঙ্গে ২৭ বছর সক্রিয় ভাবে যুক্ত। এই ছবিটা আকাশবাণীতে প্রথম দিনের। ৬ আগস্ট ’৯৪… Times FM. আমায় শোনার জন্য সবাইকে ভালোবাসা, অভিবাদন। তবে মির্চি ছেড়েছি। রেডিও নয়। কষ্ট হচ্ছে… একটু…. ওই 98.3% মতন। গল্পের পরবর্তী অংশ ব্রেকের পর॥ #sokalman’
আরও পড়ুন: Shamshera Trailer: দস্যুর বেশে ‘ডবল রোল’! তীক্ষ্ণ চাহনিতে ভয় ধরালেন শামসেরা রণবীর
মীরের পোস্ট দেখে এটা আন্দাজ করা যাচ্ছে যে, তিনি মির্চি ছেড়েছেন। পোস্টে হাসির ইমোজি ব্যবহার করলেও মির্চির (Radio Mirchi) সঙ্গে মীরের এত বছরের সম্পর্ক শেষ হওয়ায় তাঁর যে কষ্টও হচ্ছে, তা খানিকটা আন্দাজ করা যাচ্ছে। মীরের এই পোস্টের পর থেকে অনুরাগীরা তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করেছেন যে, তাঁর গলায় ‘সান ডে সাসপেন্স’ কি আর শোনা যাবে না? কোনও নেট নাগরিক লিখেছেন, ‘মীর ছাড়া মির্চি… ভাবাই যায় না।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘মীর আপনি কি সান ডে সাসপেন্স করবেন না?’ যদিও এর কোনও প্রশ্নেরই উত্তর মীর দেননি এখনও পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, প্রতি রবিবার রেডিও মির্চিতে মীরের উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান ‘সান ডে সাসপেন্স’।
রেডিয়োর পর ডিডি বাংলা চ্যানেলের নিউজ প্রোগ্রাম ‘খাস খবর’-এর মাধ্যমে প্রথম টেলিভিশন দর্শক দেখতে পায় মীরকে। তারপর ‘হাউ মাউ খাউ’, ‘বেটা বেটির ব্যাটল’, ‘মীরাক্কেল’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি করেন সঙ্গীত চর্চা।
আরও পড়ুন: TRP: লালন-ফুলঝুরির বিয়ে দিয়ে ‘ধুলোকণা’ বাংলা সেরা, প্রথম তিনে আছে তো মিঠাই-গাঁটছড়া?