প্রয়াত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। শহরের বেসরকারি হাসপাতালে ডা. অনির্বাণ নিয়োগির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার বেলা তিনটে নাগাদ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭৬।
দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।এর আগে অভিনেত্রী জানান, লাগাতার ডায়ালিসিসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁর মাকে। ৭৭ বছরের নন্দিতাদেবী আরও একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দিন পনেরো আগে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই অভিনেত্রীর মাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।
৭ নভেম্বর ছিল ঋতুপর্ণার জন্মদিন। কিন্তু মায়ের শারীরিক অবস্থার কারণে সেদিনও অভিনেত্রীর মনখারাপ ছিল। সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঋতুপর্ণা জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেশন শব্দটি শুনলেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। ভয় তো তাঁরও করছে। তবে নিজের ইতিবাচক ভাবনা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন তিনি।
নন্দিতা সেনগুপ্ত অত্যন্ত লড়াকু মনের মানুষ। এই যুদ্ধেও নিশ্চয়ই জয়ী হয়ে ফিরবেন। আশা ছিল ঋতুপর্ণার। কিন্তু এযাত্রায় সেই আশা পূরণ হল না। নায়িকার আপ্তসহায়ক শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নায়িকার স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী মেয়ে ঋষণাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়েছেন। ছেলে অঙ্কন শিক্ষার সূত্রে বস্টনে। তিনি আসতে পারেননি। বদলে ভিডিয়ো কলে দিদাকে শেষ দেখা দেখেছেন।
এ দিন শর্মিষ্ঠা আরও জানান, মাঝে মাত্র দু’দিনের জন্য জরুরি কাজের কারণে শহর ছেড়েছিলেন ঋতুপর্ণা। বাকি সময় সারা ক্ষণই তিনি হাসপাতালে ছিলেন। মানসিক দিক থেকে তিনি বরাবর মায়ের উপর নির্ভরশীল। তাই মায়ের মৃত্যুতে কথা বলার ক্ষমতাটুকুও হারিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, কালীঘাট শ্মশানে নন্দিতা সেনগুপ্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। পরিবারের বন্ধু, আত্মীয়দের কাছে অভিনেত্রীর অনুরোধ, নন্দিতাদেবীকে শ্রদ্ধা জানাতে চাইলে রাত আটটা নাগাদ তাঁরা রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে যেতে পারেন।