গায়ক কেকে-র মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ পরিস্থিতিতে হয়নি বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হৃদরোগ মূলত দু’ধরনের। হৃদরোগে আর্টারি ব্লক হয় অনেকের। তার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। আরেক ধরনের হৃদরোগে হৃদযন্ত্র পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে দেয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনেই প্রাণ হারিয়েছেন কেকে। ফুসফুসে জল জমে গিয়েছিল তাঁর। অটোপসি সার্জেনদের মতে, বেশ কয়েক বছর যাবৎ হৃদরোগে ভুগছিলেন কেকে। তবে তা নিয়ে বেশ উদাসীন ছিলেন সংগীত শিল্পী।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশ অফিসারেরা হোটেলে কেকে-র ঘর থেকে তাঁর ব্যবহৃত রুমাল সংগ্রহ করেছেন। সেটি এখন পরীক্ষা করে দেখা হবে। পাশাপাশিই চলবে ময়নাতদন্তের বিশদ এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরির কাজও। সেই রিপোর্ট পেতে পেতে অন্তত আরও ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তার পরেই নিশ্চিত এবং সরকারি ভাবে ভাবে বিষয়টি বলা হবে।নিয়ম মোতাবেক কেকে-র দেহের ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়েছে। সেটিও ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Brahmāstra: মুক্তি পেল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-র প্রথম ঝলক! কবে মুক্তি পাচ্ছে ট্রেলার?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘কেকের মুখে কিছুটা কেটে যাওয়ার দাগ আছে। যা সম্ভবত কেকে পড়ে যাওয়ার ফলে হয়েছে। তাঁর কপালে এবং ঠোঁটে চোট আছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেরকম কিছু হয়নি। রক্তপাতও হয়নি।’
প্রসঙ্গত, সূত্রের খবর, কেকে অসুস্থ হয়ে হোটেলের ঘরের সোফায় বসতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁর কপাল এবং থুতনিতে চোট লাগে। রক্তপাতও হয়। তার পরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। কিন্তু দেহে ক্ষতচিহ্ন থাকায় কেকে-র মরদেহের ময়নাতদন্তও করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশিই দায়ের করা হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাও।
আরও পড়ুন: Hum Rahe Ya Na Rahe Kal…গান স্যালুটে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, শহর ছাড়লেন কফিনবন্দি কেকে