অভিনত্রী পল্লবী দে-র রহস্য মৃত্যুর পর নানা কথা শোনা যাচ্ছে । প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের তরফ থেকে লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আপাতত গড়ফা থানায় আটক করে রাখা হয়েছে সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। তবে পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন পল্লবী।
সাগ্নিকের বক্তব্য যাচাই করছে পুলিশ। সঙ্গে পল্লবীর মৃত্যুর যে সময় তিনি দেখিয়েছেন, সেটাও ঠিক কি না, মিলিয়ে দেখা হবে পুলিশের তরফে। জানা গিয়েছে সিগারেট খেতে বিল্ডিং থেকে বের হন সাগ্নিক। ফিরে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। তারপর দরজা ভেঙে পল্লবীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পল্লবীর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে অভিনেত্রীর প্রেমিক সাগ্নিকের বয়ান যাচাই করে দেখছে পুলিশ। সাগ্নিক পুলিশকে জানিয়েছেন, আর্থিক দিক নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন পল্লবী। ইএমআই-তে গাড়ি-সহ একাধিক জিনিস কিনেছিলেন। কিন্তু হাতে সেরকম কাজ ছিল না। ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকের পর কোনও কাজও পাচ্ছিলেন না। ইআমআই শোধ করা নিয়েই তাই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Aparajito: ‘অপরাজিত’র বিদেশ যাত্রা, দেখানো হবে লন্ডন ও টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে
তবে পল্লবীর পরিবারের দাবি, সাগ্নিক দিনকয়েক আগে আচমকা অন্য কাউকে বিয়ে করে ফেলেছিলেন। সে কথা পল্লবী জানতেন না। পরে তা জানতে পেরেই অশান্তি চরমে ওঠে। সাগ্নিকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাগ্নিক।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, একই ফ্ল্যাটে দু’টি আলাদা ঘরে থাকতেন সাগ্নিক ও পল্লবী। কিন্তু পরে পুলিশকে সাগ্নিক জানান, তাঁরা একই ঘরে ছিলেন। সকাল ন’টা নাগাদ সিগারেট খেতে বাইরে যান তিনি। ফিরে এসে দেখেন দরজা বন্ধ। জানলা দিয়ে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। দরজা ভেঙে প্রেমিকাকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: Pallavi Dey: আত্মহত্যা নাকি খুন? অভিনেত্রী পল্লবীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট কি বলছে?