সময় যত এগোচ্ছে ততই যে পল্লবীর মৃত্যু মামলা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর মৃত্যু রহস্য নাটকীয় মোড় নিয়েছে। পুলিশি তদন্তে এবার উঠে এল মাদক-যোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে জেরা করে এবং গড়ফার আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এমনকী পল্লবীর ফোন পরীক্ষা করেও মিলেছে একাধিক তথ্য।
গত এপ্রিলে গড়ফার এই ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন পল্লবী এবং সাগ্নিক। সূত্রের খবর, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হুক্কা, গাঁজা-সহ নেশার জিনিসপত্র। ল্লবীর রহস্য মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রয়াত অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে।এবার পল্লবীর রহস্য মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। আগামী ২৬ শে মে পর্যন্ত সাগ্নিককে পুলিশ কাস্টডিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিচারক।
পল্লবীর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিনেত্রীর কাছ আর্থিক সুবিধাও নিত সাগ্নিক। জয়েন্ট ফিক্সড অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে দুজনের নামে। সম্প্রতি সাগ্নিক তার এবং তার বাবার নামে নিউটাউনে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। যেখানে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন পল্লবী চক্রবর্তী। এমনকী দুজনে মিলে গাড়িও কিনেছিলেন তারা, সেখানেও অনেক টাকা দিয়েছিলেন পল্লবী।
যদিও সেই অভিযোগ মানতে রাজি নন সাগ্নিকের পরিবার। ছেলের কথা শুনেই অডি গাড়ি (Audi) কেনার জন্য ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সেই গাড়ি এখন ব্যবহার করছেন পল্লবী দে-র পরিবার (Pallavi Dey’s Family)। এমনই অভিযোগ সাগ্নিক চক্রবর্তীর (Sagnik Chakraborty) মা সন্ধ্যা চক্রবর্তীর।
সন্ধ্যা চক্রবর্তীর আরও জানিয়েছেন,রাজারহাটের ফ্ল্যাটে একটিও টাকা পল্লবীর দেওয়া নয়। সেই সংক্রান্ত সব কাগজ পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে সাগ্নিকের পরিবার। পল্লবী মৃত্যুতে ঐন্দ্রিলা সরকারের প্রসঙ্গ উঠতেই সন্ধ্যা বলেন, “বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে আছি। পল্লবীর বন্ধু ছিল ঐন্দ্রিলা। সাগ্নিক জানিয়েছে, পল্লবীই বারবার ঐন্দ্রিলাকে ফ্ল্যাটে ডাকত মদ্যপান ও আড্ডা দেওয়ার জন্য।”