অভিনেত্রী পল্লবী দে-র উপর আর্থিক দিক দিয়ে অনেকটাই নির্ভর করতেন তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী। একাধিক বার নিজের প্রয়োজনে পল্লবীর থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। এমনকি, ইদানীং পল্লবীর সঙ্গে আর্থিক বিষয় নিয়ে মাঝে মধ্যেই অশান্তিও হত তাঁর। এমনটাই দাবি করেছে অভিনেত্রীর পরিবার।
শোনা যাচ্ছে অভিনেত্রীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল তাঁর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর। জয়েন্ট ফিক্স ডিপজিট দু’জনের নামে ১৫ লাখ টাকার। একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে যা পল্লবীর নামে, কিন্তু নমিনি সাগ্নিক। ফলে, এবার পল্লবীর মৃত্যু মমলায় জড়িয়ে পড়ছে আর্থিক দিক।
পল্লবীর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে সম্প্রতি সাগ্নিক তাঁর আর তাঁর বাবার নামে নিউটাউনে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে একটা ফ্ল্যাট কেনে। যেখানে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন পল্লবী। এমনকী, দু’জনে মিলে যে গাড়িটি কিনেছিলেন তাতে মোটা টাকা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: Katrina Kaif: বাবা হচ্ছেন ভিকি! ক্যাটরিনা ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা?
জানা গিয়েছে, সাগ্নিক বিবাহিত। তবে বছর দুয়েক ধরে আলাদা থাকেন। তিনি পল্লবীর পরিবারকে জানিয়েছেন ডিভোর্সের আবেদন করা হয়েছে। ফলে আগামী বছর বিয়ের কথাও ভেবেছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে। এদিকে গড়ফার বাড়ির যে কেয়ারটেকার তিনি পল্লবীর পরিবারকে জানিয়েছেন দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। এমনকী, ঝগড়া থেকে তা হাতাহাতির পর্যায়েও পৌঁছত।
সোমবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পল্লবীর মাসি সংঘমিত্রা ভট্টাচার্য জানান, অভিনেত্রীর মৃত্যুর পরই তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, একাধিক ব্যাঙ্কে পল্লবীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল সাগ্নিকের। সেই সব অ্যাকাউন্টে এখন প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। যদিও পুলিশের জেরায় এ ব্যাপারে সাগ্নিক কোনও কথা জানাননি। সাগ্নিকের পরিবারও কোনও পাল্টা দাবি করেনি। গত কয়েক মাস ধরে পল্লবী আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলেও দাবি করেছেন সংঘমিত্রা। তিনি জানিয়েছেন, এই খবর তিনি পল্লবীদের পরিচারিকার থেকে পেয়েছেন।
আজ গড়ফা থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনার’ অভিষোগ আনতে চলেছে পরিবার। গতকাল গভীর রাতে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেওয়া হয় সাগ্নিককে। কারণ, এখনও পল্লবীর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ রুজু করা হয়নি। এবং পুলিশও এটাকে ‘আত্মহত্যার মামলা’ হিসেবেই দেখছে।
আরও পড়ুন: Pallavi Dey: বিবাহিত হয়েও পল্লবীর সঙ্গে লিভ ইন! গায়ে হাত তুলতেন সাগ্নিক, দাবি হতভাগ্য বাবার