প্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী পঙ্কজ উদাস। সোমবার মুম্বইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। বয়স হয়েছিল ৭২। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। চলছিল চিকিৎসা। যদিও শেষরক্ষা হল না। এ দিন অর্থাৎ সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে এক শোকবার্তা। তাতে লেখা, “দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, পদ্মশ্রী পঙ্কজ উদাস মারা গিয়েছেন। দীর্ঘ দিন অসুস্থ ছিলেন তিনি।”
শিল্পীর মৃত্য়ুর খবর সোশাল মিডিয়ায় নিশ্চিত করেছেন পঙ্কজকন্যা নয়াব উদাস।জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সোমবার সকাল ১১টায় ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবারসূত্রে খবর, মঙ্গলবার প্রয়াত শিল্পীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
১৯৫১ সালের ১৭ মে গুজরাটের জেটপুরে জন্ম হয় তাঁর। ১৯৮০ সালে শুরু হয় তাঁর সঙ্গীতের কেরিয়ার। অনুষ্ঠান, অ্যালবাম, ছবির গানে আশির দশককে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন পঙ্কজ। ‘চান্দি জ্যায়সা রঙ্গ’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারোঁ সে মিল কর রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যার করো’, নিকলো না বেনকাব’— পঙ্কজ উদাসের গাওয়া সব গজল আজও শ্রোতাদের মনের রসদ। ‘নশা’, ‘পয়মানা’, ‘হসরত’, ‘হামসফর’-এর মতো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত অ্যালবামও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
১৯৮৬ সালে ‘নাম’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘চিঠঠি আয়ি হ্যয়’ গানটি তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। তার পর ১৯৯১ সালে ‘সাজন’ ছবির ‘জিয়ে তো জিয়ে’ গানটিও তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম হিট।সারা জীবনে দেশ-বিদেশের একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন পঙ্কজ উধাস। ২০০৬ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। শিল্পীর প্রয়াণে দেশের সঙ্গীত জগতের বিশিষ্টরা সমাজমাধ্য়মে শোকবার্তা জানিয়েছেন।