টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা গশমীর মহাজনীর বাবা রবীন্দ্র মহাজনীর জীবনাবসান। মারাঠি ফিল্মের কিংবদন্তী অভিনেতা তথা পরিচালক ছিলেন তিনি। শুক্রবার পুনের তালেগাঁওর জারবিয়া সোসাইটির একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ।
জানা যায়, বিগত আট মাস ধরে মুম্বইয়ের এক আবাসনে একা থাকছিলেন রবীন্দ্র। কয়েক দিন ধরেই তাঁর ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। শুক্রবার সাড়ে চারটে নাগাদ প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর হয়। এর পরেই অভিনেতার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তালেগাঁও এমআইডিসি পুলিশ স্টেশনের একটি টিম রবীন্দ্রের ফ্ল্যাটে এসে পৌঁছয়। এর পর দরজা ভেঙে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে মনে করা হচ্ছে, মৃতদেহটি পাওয়ার তিন দিন আগে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। রবীন্দ্রের পরিবারকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে খবর দেওয়া হয়। আপাতত অভিনেতার দেহের পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bigg Boss Ott 2: হাতে সিগারেট নিয়ে সঞ্চালনা, ‘বিগ বস্’ ঘিরে জোরালো বিতর্ক
যদিও পুলিশের তরফে এ নিয়ে অফিসিয়াল কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। একাধিক রিপোর্ট বলছে, পুলিশের অনুমান, দেহ উদ্ধারের দু’ থেকে তিন দিন আগে অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে। ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। ফলে তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে।
উল্লেখ্য, মারাঠির পাশাপাশি হিন্দি এবং গুজরাটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে Ravindra Mahajani-র উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তাঁর প্রয়াণের খবরে শোকস্তব্ধ হাজার হাজার অনুরাগী। টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন অনেকেই। অভিনেতার সতীর্থরাও শোকস্তব্ধ।
ফিল্মি দুনিয়ার আসার আগে ট্যাক্সি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন রবীন্দ্র মহাজনী। কাজের ফাঁকে সিনেমার অডিশন দিতেন। ১৯৬৯ সালে তাঁকে সাত হিন্দুস্তানি ছবিতে পুলিশ ইন্সপেক্টরের ভূমিকায় দেখা যায়। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আরাম হারাম আহে, দুনিয়া কারি সালাম, হলদি কুংকু, তিন চেহরে, গোন্ধালত গোন্ধাল, দেবতা, মুম্বইচা ফৌজদার, সারজা, উনাদ ময়না, জুঞ্জ, বলো হে চক্রধারী, কলত নাকালত, জগভেগালি পাইজ, আশা পুরমানি নি চিন্দ্রির মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। ২০১৫ সালে কায় রাভ তুমহি, ক্যারি অন মারাঠা ও দেওল ব্যান্ডে কাজ করেছিলেন। ২০১৯ সালে শেষবার আশুতোষ গোয়ারিকরের পানিপথ ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন: Madhabi Mukherjee: গুরুতর অসুস্থ মাধবী মুখোপাধ্যায়, ২৩ দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে