চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা। হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু আর আটকানো গেল না। একা ফেলে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা। কাছের মানুষকে হারানোর ভয় ছিল দীর্ঘদিন। তাই তো, একমুহুর্তও তাঁর থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন নি। আজ, যেন সব ভালবাসার হার। ঐন্দ্রিলা চলে যেতেই ভয়ঙ্কর ভাবে ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী। সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও বিদায় নিলেন অভিনেতা।
শুক্রবার রাতে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট করেন সব্যসাচী। সেই পোস্টে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার উন্নতির আভাস দেন। তবে এই প্রথম নয়, গত ২ অক্টোবর ঐন্দ্রিলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে তাঁর শরীরের হালহকিকত ফেসবুকেই জানাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকাই শনিবার সব কিছু মুছে ফেলেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছিল কেন? কী কারণে? শনিবার রাত থেকেই কি এই মুহূর্তটার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন? না সেই উত্তর হয় পাওয়া যায়নি। হয়তো সেই উত্তর আসবেও না।
আরও পড়ুন: Katrina Kaif : উঁকি মারছে বেবি বাম্প? ক্যাটরিনার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু জল্পনা
ঐন্দ্রিলার মৃ্ত্যুর খবর আসার পরই রবিবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিলেন সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচীর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেতা সৌরভ দাস। এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সৌরভ জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী। শোকে কাতর অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরাও। ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লিখবেন না সব্যসাচী। কারণ যে মানুষটার কথা শুনে লিখতে শুরু করেছিলেন তিনি, সেই ঐন্দ্রিলাই তো আর নেই।
সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে জানালেন, এখন সব্যসাচীকে ফোন না করাই ভাল। দরকারে তিনি কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: Aindrila Sharma: পঞ্চভূতে বিলীন ঐন্দ্রিলা, মুখাগ্নি করলেন অভিনেত্রীর বাবা ও সব্যসাচী