sagnik chakraborty, main accused of actress Pallavi dey’s murder mystery, send to police

Pallavi Dey: সাগ্নিককে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আলিপুর আদালতের

পল্লবী দে রহস্যমৃত্যুর মামলায় মঙ্গলবারই প্রয়াত অভিনেত্রীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে গরফা থানার পুলিশ। সোমবার পল্লবীর সঙ্গী এবং নায়িকার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার রাতভর দফায় দফায় জেরা করা হয় সাগ্নিককে। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।

আজ, বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় সাগ্নিক চক্রবর্তীকে।বিচারক সাগ্নিককে পুলিশ হেফাজতে রাখার এই নির্দেশ দেন। তবে আদালতে জামিনের আবেদন করে সাগ্নিকের আইনজীবী জানান, এই ঘটনা প্রণয় ঘটিত সম্পর্কের কারণেই হয়েছে। তবে পল্লবীর পরিবারের আইনজীবী জানান, অভিনেত্রীর মৃত্যুর সময় ঘটনাস্থলে আর কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সেই কারণে এখনই জামিন দেওয়া উচিত নয় সাগ্নিককে।

বুধবার সকালেই গরফা থানায় পৌঁছন প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিচারিকা সেলিমা সর্দার-ও। থানায় গিয়ে সেলিমা দাবি করেন, পল্লবীর উপস্থিতিতে নাকি একাধিক বার গরফার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে পল্লবী বেরিয়ে যাওয়ার পরও ফ্ল্যাটে সাগ্নিকের সঙ্গে থেকে যেতেন ঐন্দ্রিলা। তিনি আরও জানান, পল্লবী থাকাকালীনই সাগ্নিকের সঙ্গে দেখা করতে একাধিক বার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকার। পরে পল্লবী কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরও সাগ্নিক ও ঐন্দ্রিলা দরজা বন্ধ করে দিয়ে বেশ কিছু সময় এক সঙ্গে কাটান। সাগ্নিক এবং ঐন্দ্রিলার ঘনিষ্ঠতা তাঁর ভাল লাগেনি বলেও সেলিমা জানিয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, ইদের দিনেও ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সাগ্নিক এবং পল্লবীর মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া এবং কথা-কাটাকাটি হত বলেও দাবি করেছেন সেলিমা।

রবিবার সকালে সাতটা ও আটটা নাগাদ সেলিমাকে ফোন করেছিল পল্লবী। সাগ্নিক ছাড়া, শেষবার সেলিমার সঙ্গেই কথা হয় তাঁর। ওইদিন পরিচারিকা কাজে যাবে না, এমনটা জানিয়েছিল। এই নিয়ে রাগ করে ফোন কেটে দেন পল্লবী। অন্যদিকে পুলিশি জেরায় সাগ্নিক জানিয়েছে, পরিচারিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় পল্লবীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। এরপর ঘর থেকে বের হয়ে সিগারেট খেতে চলে যান তিনি। ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। ঠেলাঠেলির পরও না খুললে কি লক দিয়ে ঘরের ভিতরে চোখ রেখে দেখেন পল্লবী ঝুলছে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে। তড়িঘড়ি কেয়ারটেকারকে ডেকে ঘর থেকে উদ্ধার করেন তিনি তারপর প্রেমিকাকে। খবর দেন পুলিশে