১৯৫৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল সাড়া জাগানো ছবি ‘মাদার ইন্ডিয়া’ যেখানে বিরজুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সাজিদ খান। এই চরিত্রেই বড়বেলার ভূমিকায় ছিলেন সুনীল দত্ত। সারা দেশ জুড়ে সাড়া জাগিয়েছিলে এই ছবি ‘মাদার ইন্ডিয়া’। ২২ ডিসেম্বর অভিনেতা সাজিদ খানের মৃত্যু হয়। আর এই মৃত্যু সংবাদের আবহে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন আরেক সাজিদ খান। বলিউডের বিখ্যাত ‘হাউজফুল’ ছবির পরিচালক সাজিদ খানের নাম জুড়ে যায় অনিচ্ছাকৃতভাবে। আর তা নিয়েই সমাজমাধ্যমে সরব পরিচালক।
একটি ভিডিয়ো বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিলেন সাজিদ। তাতে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘মাদার ইন্ডিয়া ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৭ সালে। আর সেই সিনেমায় সুনীল দত্তের বাচ্চা বয়সে যে শিশু অভিনেতা কাজ করে তাঁর জন্ম ১৯৫১ সালে। এর ২০ বছর পর আমার জন্ম হয়। উনি প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় মিডিয়ার কিছু লোক সেই খবরে আমার ছবি ব্যবহার করেছেন। আমি মিডিয়ার সকলকে, আমার জন্য যারা চিন্তিত তাঁদের জন্য, বা দুনিয়ার যে প্রান্ত থেকেই মানুষ আমাদের দেখছেন, তাঁদের উদ্দেশে হাত জোড় করে প্রার্থনা করে বলতে চাই, আমি বেঁচে আছি। আর যেই সাজিদ খান মারা গিয়েছেন, তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
উল্লেখ্য ‘মাদার ইন্ডিয়া’ খ্যাত অভিনেতা সাজিদ খান দীর্ঘ দিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। শৈশবেই প্রযোজক মেহবুব খান তাঁকে দত্তক নেন। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় মেহবুব পরিচালিত এবং অস্কার মনোনীত ছবি ‘মাদার ইন্ডিয়া’। এই ছবিতে অভিনেত্রী সুনীল দত্তের অল্প বয়সের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কাড়েন সাজিদ। ১৯৬২ সালে মেহবুব পরিচালিত শেষ ছবি ‘সন অফ ইন্ডিয়া’তেও একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেন সাজিদ। এর পর ‘মায়া’, ‘দ্য প্রিন্স অ্যান্ড আই’, ‘হিট অ্যান্ড ডাস্ট’-এর মতো বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ছবিতে অভিনয় করেন সাজিদ। কিন্তু বলিউডে সেই ভাবে তাঁর কেরিয়ার গড়ে ওঠেনি।