অবশেষে নিজের কাছে বন্দুক রাখার অনুমতি পেলেন বলিউডের দাবাং নায়ক সলমন। ২৩ জুলাই নাগাদ মুম্বই পুলিশ কমিশনার বিবেক পানসলকরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সলমন। তখনই সলমন কমিশনারকে জানিয়েছিলেন আত্মরক্ষার জন্য তিনি নিজের কাছে বন্দুক রাখতে চান। শেষমেশ, সলমনের জমা দেওয়া সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে অভিনেতাকে বন্দুক রাখার অনুমতি দিলেন পুলিশ কমিশনার।
সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর থেকে এবং বিশেষ করে প্রাণনাশের হুমকি চিঠি পাওয়ার পর থেকে বেশ মানসিক চাপেই রয়েছেন সলমন খান (Salman Khan)। আর সেই কারণেই নাকি নিজের কাছে বন্দুক রাখতে চাইছেন সলমন।
গত সপ্তাহেই খবর মিলেছিল নিজের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটির ভোলবদল করিয়েছেন সলমন। বাইরে থেকে দেখে বোঝা না গেলেও গাড়িতে নতুন কাঁচ লাগান তিনি। যা বুলেটপ্রুফ। অভিনেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, হুমকি পাওয়ার পর থেকেই নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সলমন। তাই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁর বাসভবনের নিরাপত্তাও আঁটোসাটো করা হয়েছে।
জুন মাসে হুমকি চিঠি পান সলমন খান, মর্নিং ওয়াক করার সময়। যেখানে তাঁকে ও তাঁর বাবাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী, গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এক জেরায় মেনেও নেন সলমনকে মারতে এর আগে শার্প শ্যুটার পাঠানোর কথা। এমনকী, ৪ লাখের রাইফেলও কিনেছিলেন ২০১৮ সালে। তবে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
লরেন্স পুলিশকে সেই সময় জানিয়েছিলেন, কৃষ্ণসায়র হরিণকে দেবতা হিসেবে পুজো করে বিষ্ণোই সম্প্রদায়। তিনি সলমনকে খুন করতে চাইতেন ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হরিণ মামলার কেসের কারণে। রাজস্থানের যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শ্যুটের সময় এই কেসে জড়িয়েছিলেন ভাইজান।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে আদালতের তরফে সলমনকে পাঁচ বছরের শাস্তি ঘোষণা করা হয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন সলমন। সেই সময়তেই সেই খুনের ছক কষা হয়েছিল।