আরিয়ান খান মামলায় বড় ফ্যাসাদে প্রাক্তন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে কোর্ডেলিয়া প্রমোদতরী মাদক মামলায় ক্লিনচিট দেওয়া হল আরিয়ান খানকে। আর চার্জশিট পেশ হতেই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। এনসিবি-র প্রাক্তন আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এ বার কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
গত বছরের ২ অক্টোবরে মুম্বইয়ের উপকূলে প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ায় এনসিবি অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সমীরই। সেখান থেকেই মাদক-যোগের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরিয়ান ও তাঁর সঙ্গীদের। প্রায় এক মাস জেলে কাটিয়ে জামিনে ছাড়া পান ‘বাদশা’-পুত্র। তার পরেও নিয়মিত এনসিবি দফতরের জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরা দিতে হত তাঁকে। তার পরেই শুক্রবার পেশ করা চার্জশিটে এনসিবি জানিয়েছে, আরিয়ান বেকসুর। শাহরুখ খান পুত্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই। এর জেরে ব্যাপক হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে এনসিবির গ্রহণযোগ্যতা এবং কর্মপদ্ধতি।
আরও পড়ুন: Bidisha Dey Majumdar: পল্লবীর পর এ বার রহস্যমৃত্যু মডেল বিদিশা দে মজুমদারের, অভিযোগ বয়ফ্রেন্ডের নামে
গত ২রা অক্টোবর কর্ডলিয়া ক্রুজে রেড করেছিল এনসিবির যে দল তাঁদের তদন্তে বিস্তর গরমিল পাওয়া গিয়েছে তা একপ্রকার মেনে নিয়েছে এনসিবি। সংবাদমাধ্যমকে এনসিবির ডিজি এসএন প্রধান জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে যে তদন্ত করা হয়েছিল তাতে বেশ কিছু খামতি রয়েছে, বিশেষত তৎকালীন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে যেভাবে মামলাটি চালনা করেছেন’।
আরিয়ান মামলা থেকে আগেই হঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সমীর ওয়াংখেড়েকে। তৎকালীন এনসিবির জোনাল ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, হুমকি দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। জাল কাস্ট সার্টিফিকেটের মামলায় ইতিমধ্যেই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
২০২০ সালের ৩১ অগস্ট এনসিবির মুম্বইয়ের জোনাল ডিরেক্টর পদে যোগ দিয়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিসের ২০০৮ ব্যাচের ওই আধিকারিককে কার্যত ‘ধার’ করেই এনসিবি-তে নিয়ে আসা হয় সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলার সম্পর্কিত মাদক মামলার তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে। কার্যকাল শেষ হওয়ার পরেও এনসিবিতে তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছিল তাঁর। সেই সময়ই ঘটে যায় আরিয়ান খান মাদক মামলা। আরিয়ান বিতর্কের মাঝেই ৩১ ডিসেম্বর এনসিবিতে শেষ হয় সমীর ওয়াংখেড়ের কার্যকাল। এখন তিনি ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সে (ডিআরআই)-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা।