Singer kabir suman's facebook post created controversy in bengali industry

Kabir Suman: যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট কবীর সুমনের, নিন্দায় মুখর নেটপাড়া

দিন যত বাড়ছে, বিতর্ক ততই তাড়া করে বেড়াচ্ছে কবীর সুমনকে। তা সে বলার ক্ষেত্রেই হোক বা লেখনীতে– প্রতিবার নিজেই সেই বিতর্ক তৈরি করে বসেছেন এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পী।

এই সমস্যার সূত্রপাত কবীর সুমনের লেখা একটি কবিতা নিয়ে। সুমন তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি কবিতা লেখেন।

পূর্বাকে –
পূর্বা তোমার মনে আছে হয়তোবা
ফোনে কথা হতো সামনে আমরা বোবা
প্ল্যান প্রোগ্রাম ফোনেই চলত সব
এমনকি হয়ে গেল গেল কলরব
রেকর্ডিং করেছিলে নাকি সেই কল
ভাইরাল করে দেবে কি মদনজল –

শেষটা মিলিয়ে মিলিয়ে পুড়কি লেখা
পূর্বা তোমার চারহাতিটার শেখা
দুপুরবেলায় আমার বিছানা জুড়ে
আমরা দুজন বেড়াতাম উড়ে উড়ে
সেই ইতিহাস ভাইরাল হবে নাকি
পূর্বাপূর্ব খেলাটা এখনও বাকি
ফোনের যুগল স্বমেহন শিৎকার
রেকর্ডিং করে রাখাটাও দরকার
তারপরে তুমি ভাইরাল করে দিও
নীতি উপদেশ বেঁটেদের বরণীয়
এই তো সেদিন ফোন করেছিলে রাণী
কী হলো আবার তুমি জানো আমি জানি
বুড়ো হয়ে গেছি তাও ভালো পারি ওটা
আবার বলবে তোমারটা খুব মোটা
এই দ্যাখো পূর্ বায়ে এটা অশ্লীল
নববসন্তে আকাশটা দ্যাখো নীল।

আরও পড়ুন: ARYAN KHAN: মাদক ষড়যন্ত্রে যুক্ত নন আরিয়ান, দাবি নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর

 তাঁর ওই তথাকথিত কবিতায় প্রোটাগনিস্ট হিসেবে যে নামটি তিনি লিখেছেন, সেই নামের সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে এ যুগের জনপ্রিয় এক কবির স্ত্রীর। প্রসঙ্গত, সেই কবির সঙ্গেই দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছিলেন সুমন। এক সাংবাদিককে কুরুচিকর ভাষায় কথা বলার জন্য সেই কবি প্রতিবাদ করেন সুমনের বিরুদ্ধে। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যক্তি আক্রমণ করেন কবীর সুমন। কিন্তু ঘটনার ইতি এখানেই নয়। ইতিপূর্বেও সেই কবির স্ত্রীর নাম নিয়ে প্রকাশ্যে ‘… তুমি কী অপূর্বা’ লিখেছিলেন সুমন। তবে গতকালের ঘটনা যেন ছাপিয়ে গিয়েছে সবকিছু। স্তম্ভিত তাঁর অতিবড় ভক্তরাও।

নেটিজেনদের বক্তব্য, “যৌনাঙ্গের আকার, হস্তমৈথুন, শিৎকার– সুমনের পোস্ট জুড়েই পরিলক্ষিত হয়েছে এক বিকৃতকাম মানসিকতা”। চুপ করে থাকেনি বাংলার শিল্পীমহলও। রাহুল যেমন লিখেছেন, “মানুষ হওয়া ছেড়েছ তো কয়েক বছর আগে, তোমার কি জন্তু হতে এতো ভালো লাগে?” রাহুলের ওই পোস্টে সমর্থন করেছেন রুপসা দাশগুপ্ত, জয়দীপ কুন্ডু সহ অনেকেই। প্রতিবাদ করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও। নাম না নিয়েই জয় সরকার আখ্যা দিয়েছেন ‘নিকৃষ্টতম’।

তবে, একাধিক বিষয়ে একসময়ের প্রতিবাদী কবীর সুমন ঠিক কী কারণে এই কবিতাটি লিখেছেন তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়। যদিও, বিতর্কের ঝড় ওঠার পরই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্টটি সরিয়ে দিয়েছেন সুমন।

আরও পড়ুন: Hero Alam: ফের বিতর্কে হিরো আলম, পুলিশের সামনেই ঋণদাতার সঙ্গে হাতাহাতি