অভিনয়ের থেকেও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেশি নামডাক সোনু সুদের। অতিমারির সময় থেকেই সমাজকল্যাণমূলক কাজের দিকে মন দিয়েছেন সোনু। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসে করে বাড়ি পাঠানো থেকে শুরু করে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচের ব্যবস্থা করা— নিজ দায়িত্বে সবটা করেছেন সোনু সুদ। তাঁর অবদানের কথা মনে করে বিহারে তাঁর নামে একটি বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিহারের কাটিহারে অনাথ বাচ্চাদের জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেন এক ইঞ্জিনিয়ার। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন সোনু। খবর, ওই স্কুলেরই আরও একটি বিল্ডিং তৈরির জন্য খরচ দিতে চলেছেন বলিউড অভিনেতা।
বীরেন্দ্র কুমার মাহাতো নামক সেই ইঞ্জিনিয়ার মাত্র ২৭ বছর বয়সেই এই স্কুল বাড়ি তৈরি করেছেন অনাথ শিশুদের লেখাপড়ার জন্য। বর্তমানে তাঁর স্কুলে ছাত্রের সংখ্যা ১১০ জন। তিনি নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই শিশুদের নিয়েই আছেন। তাঁর এই উদ্যোগের কথা জানতে পেরে ২০২৩ -এর ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সোনু। জানেন সকলের বিষয়ে নানা খুঁটিনাটি জিনিস। তখনই তিনি বীরেন্দ্র পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এবং জানান আরও একটি বিল্ডিং এই স্কুলের জন্য তিনি তৈরি করে দেবেন। এমনকি তিনি এখানকার ১১০ জন পড়ুয়ার খাবার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।
সোনু ঠিক করেন শিশুদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের স্কুল তৈরি করবেন। যেমনি ভাবা তেমনি কাজ। নতুন স্কুলের বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু করে দেন বলিউড তারকা।
‘সকলের জন্য শিক্ষা অবাধ। ধনী দরিদ্রের মধ্যে সমস্ত ভেদাভেদ ঘুচিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার অন্যতম সেরা উপায়। আমরা সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর শিশুদের শিক্ষিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। যাতে তারা চাকরির আরও ভালো সুযোগ পায়। উচ্চশিক্ষা এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এছাড়াও অন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল শিশুদের পুষ্টি এবং সামগ্রিক সুস্থতা। কারণ, এই স্কুলটি রাতের আশ্রয়কেন্দ্রও হয়ে উঠেছে।’ বললেন সোনু।
অভিনেতার মতে, ‘‘দারিদ্র ঘোচানোর অন্যতম উপায় শিক্ষার প্রসার। আমরা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের শিক্ষার সুযোগ দিতে চাই, যাতে পরবর্তী কালে ওরা ভাল চাকরির সুযোগ পায়।’’ এই মুহূর্তে গোটা দেশের প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়ার লেখাপড়ার খরচ বহন করছেন সোনু।