‘গদর ২’-এর বক্স অফিস সাফল্যের মাঝেই এসেছিল দুশ্চিন্তার খবর। অভিনেতা সানি দেওলের জুহুর বাংলো ‘সানি ভিলা’ নাকি নিলামে উঠতে চলেছে। ৫৫ কোটির টাকা ঋণ নিয়ে নাকি তা শোধ করতে পারেননি বলিউড অভিনেতা। ঋণের সেই টাকা ফেরত পেতে ৫৬ কোটি টাকায় ‘সানি ভিলা’ নিলামে তোলার নোটিস জারি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। রবিবার ২০ অগস্ট এই নোটিস জারি করে ওই ব্যাঙ্ক। সোমবার ২১ অগস্টই সংশোধনী জারি করে ‘সানি ভিলা’ নিলামের সেই নোটিস প্রত্যাহার করে নিল উক্ত ব্যাঙ্ক।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ই-অকশন নোটিশে সংশোধনী, অজয় সিং দেওল ওরফে সানি দেওলের যে সম্পত্তি নিলামে তোলা হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে টেকনিক্যাল কারণের জেরে’। কিন্তু কী সেই টেকনিক্যাল কারণ তা স্পষ্ট করেনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ব্যাঙ্ককে ঋণের কিস্তি মেটাননি সানি দেওল। রবিবার যে নোটিশ জারি করা হয়েছিল সেখান থেকে জানা যায়, এই সম্পত্তির রিজার্ভ প্রাইজ রাখা হয়েছে ৫১.৪৩ কোটি টাকা। থেকেই জানা যায়, সানি ভিলার পাশাপাশি সানি সাউন্ডও নিলামে উঠবে। দেওলের যৌথ সম্পত্তি সানি সাউন্ড। সানি সাউন্ড কোম্পানিকে গ্যারেন্টার হিসাবে দেখানো হয়েছিল লোন নেওয়ার সময়। সানির বাবা, প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে অনুদানকারী হিসেবে দেখানো হয়েছে নথিতে। আরও বলা হয়, SARFAESI ২০০২ আইনানুসারে সময়মতো দেওলরা ঋণের টাকা মিটিয়ে বাংলোকে নিলামে ওঠবার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এখন প্রশ্ন, তবে কি ব্যাঙ্কের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিলেন গুরদাসপুরের বিজেপি সাংসদ?
আরও পড়ুন: Fighter: দেশপ্রেমে বক্স অফিস জয়ের চেষ্টা ! ‘ফাইটার’-এ ভারতীয় বায়ু সেনার পাইলট হৃতিক-দীপিকা
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরে সানির মুখপাত্রের দাবি করেন, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নাকি সমস্যা সমাধানে বদ্ধপরিকর অভিনেতা ও তাঁর দল। শোনা যাচ্ছিল, সানিকে আরও এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করতে পারলে ‘সানি ভিলা’র নিলাম রুখবে ব্যাঙ্ক।
বক্স অফিসে এই মুহূর্তে দাপটের সঙ্গে রাজ করছে সানি দেওল ও অমিশা পটেল অভিনীত ছবি ‘গদর ২’। গত সপ্তাহ খানেক ধরে বক্স অফিসে একের পর এক নজির গড়ছে ‘গদর ২’। দ্বিতীয় সপ্তাহান্তেই প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে ছবি।
আরও পড়ুন: Kiss: পাহাড়ের কোলে বিদীপ্তার ঠোঁটে চুমু ‘ব্যোমকেশ’ পরিচালকের! ধেয়ে এল কটাক্ষ