কাশ্মীরি পন্ডিতদের রাজ্যত্যাগের ঘটনা দর্শকের সামনে তুলে ধরছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী তাঁর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস'(The Kashmir Files) ছবির মাধ্যমে। এই সিনেমা নিয়ে বিজেপি শিবিরে বেশ শোরগোল। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেখা করেছেন সিনেমার কলাকুশলীদের সঙ্গে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সিনেমাটি করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপির স্বঘোষিত মুখপাত্র কঙ্গনা রানাওয়াত উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন সিনেমাটির সাফল্য নিয়ে। এর মধ্যেই নেট মাধ্যমে ঘুরতে শুরু করেছে ভিন্ন মত। যেখানে অভিযোগ একটি নির্দিষ্ট ধর্ম গোষ্ঠীর উপর চাপাতে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য বিকৃত করেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।
এই সিনেমার তথাকথিত ‘সাফল্যে’র পরেই নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ২০০৫ সালের একটি RTI। তাতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু তথ্য। যেমন, স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ৮৯ জন কাশ্মীরির পন্ডিত আর ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ১৬৩৫ জন জঙ্গিহানায় নিহত হয়েছেন। ১৯৮৯ সালের রাজনৈতিক উত্তেজনায় মৃত্যু হয়েছে ২১৯ জন কাশ্মীরি পন্ডিতের।
আরও পড়ুন: ৪ রাজ্যে জিতেই সঞ্চয়ে কোপ! ৪৪ বছর পর সর্বনিম্ন পিএফের সুদের হার
এই পরিপ্রেক্ষিতে কেরালার কংগ্রেস #KashmirFiles vs truth হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ইস্যু সম্পর্কে কিছু ‘তথ্য’ টুইট করতে শুরু করেছে, যা একটি নতুন বিতর্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।তাতে লেখা হয়েছে, ‘জগমোহনের শাসনের আমলেই পণ্ডিতরা উপত্যকা ছেড়েছেন যিনি একজন আরএসএসের সদস্য ছিলেন। সেই সময়ে কেন্দ্রে বিজেপি-সমর্থিত ভিপি সিং সরকার ছিল। তা সত্ত্বেও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দেশত্যাগ হয়েছিল এবং সরকার কিছুই করেনি। সন্ত্রাসী হামলার পর, পণ্ডিতদের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে, বিজেপির নিজস্ব রাজ্যপাল জগমোহন তাদের জম্মুতে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য বলেছিলেন। এর ফলে পণ্ডিত পরিবাররা নিরাপদ বোধ করেনি এবং ভয়ে উপত্যকা ছেড়ে চলে গেছিলেন।সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। কিছু মানুষ এখানে চক্রান্তের শিকার।’
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য বিজেপির সহানুভূতিকে ‘কুমিরের কান্না’- র সঙ্গে তুলনা করেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: Gold Rate: সামান্য পতন সোনার দামে, তবুও মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ