দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সিনেমাহলে চললেও মুক্তির তিনদিনের মাথাতেই বাংলায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। যা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। এবার এই ছবিকে নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টে মোট তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বুধবার সকালে হাই কোর্টে ২টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং আইনজীবী দেবদত্ত মাঝি পৃথক ভাবে এ প্রসঙ্গে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম উভয় ক্ষেত্রেই মামলার অনুমতি দেন। জনস্বার্থ মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সেন্সর বোর্ড কিংবা অন্য রাজ্যের প্রশাসন সবুজ সংকেত দেওয়ার পরও কেন বাংলায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ছবিটিকে? আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। এদিনই পরে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। তৃতীয় মামলাটি দায়ের করেছেন জনৈক নাগরিক পূর্ণিমা চক্রবর্তী। তিনি কলকাতা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর হয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ব্রজেশ ঝা। মামলা দায়েরের অনুমতিও পান।
গত সোমবার নবান্নে ‘দ্য কেরালা স্টোরি‘ নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সিনেমাটি ঘৃণা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যে প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন জানিয়েছিলেন, এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। সেই মতোই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ছবির প্রযোজক ভিপুল শাহ।
বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ মুক্তি পেয়েছে গত ৫ মে। মুক্তির আগে থেকেই এই ছবিকে ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ছবির বিষয়বস্তু সাম্প্রদায়িকতায় উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। কেরল, তামিলনাড়ু-সহ একাধিক রাজ্যে ছবিটিকে ঘিরে নানা অশান্তি হয়েছে। বিরোধীরা ছবি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।