পার্থ-অর্পিতা কাণ্ডে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। টলিউডের মন্ত্রী-যোগ খোঁজার হিড়িকে ফের চর্চায় মদন মিত্রের সঙ্গে অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছবি। সত্যিই কি দু’জনে কাছাকাছি? তবে শ্রীতমা যা বলেছেন তাতে মদন মিত্রের বুকে ছোট লাগা স্বাভাবিক। ব্যাক্তিগত আলাপচারিতায় শ্রীতমা বলেছেন ওঁকে আমি আমার বাবার বন্ধু হিসেবে বহু বছর আগে থেকেই চিনি। মদন মিত্রের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। মদন মিত্র আমার বাবার মতো, সেটাই আমাদের সম্পর্ক।
বাবার ওপেন হার্ট সার্জারির সময় মদনদা এবং ওঁর পুরো পরিবার আমাদের পাশে ছিলেন। অস্ত্রোপচার থেকে ওষুধ— বাবার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব কামারহাটির বিধায়ক নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। বাবা চলে যাওয়ার পরে উনিই আমার বাবার জায়গা নিয়েছেন। মদন মিত্র শ্রীতমা ভট্টাচার্যের অভিভাবক। আর আমাকে নিয়ে গুঞ্জন তো নতুন নয়!
কয়েক মাস আগে আমার বিয়ে নিয়েও টেলিপাড়ায় তোলপাড়া হয়েছে। আমি নাকি বিয়ে করেছি। কাকে করেছি? আমি তো জানিই না। সমালোচকেরাও জানেন না! উল্টে আজ অমুকের সঙ্গে, তো পরের দিন অন্য কারও সঙ্গে আমায় ইচ্ছেমতো জুড়ে দিয়েছে। কিন্তু সঠিক কারও নাম বলতে পারেননি। একটা সময়ের পরে সেই বিতর্ক থেমে গিয়েছে। সে ভাবেই এখন মদন মিত্রকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সেটাও থেমে যাবে।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে আসার আগেও অভিনেত্রী শ্রীতমা কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুণীর কদর করতে জানেন। শিল্পীদের খুব ভালওবাসেন। সেই সূত্রে আমাদের পারস্পরিক আদানপ্রদান থাকেই। আর নির্বাচনে জিতে পৌরমাতা হওয়ার পরে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক একদম পেশাগত। ওঁরা কেউ আমার মন্ত্রী, বিধায়ক বা সাংসদ। আমি পুরমাতা। যেমন, মদন মিত্রের এলাকায় আমি পুরমাতা ।
‘‘মদনদার পাশে নায়িকা মানেই খবর! এখন তো পুরুষদের সম্পর্ক, ঘনিষ্ঠতাও মান্যতা পাচ্ছে। তা হলে দুই পুরুষ রাজনীতিবিদ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি তুললে বা পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা থাকলে সেই নিয়ে কথা হবে না কেন?’’ অভিনেত্রীর আরও দাবি, পার্থ-অর্পিতার ঘটনা দেখে বাকিদেরও এ ভাবে এক দাঁড়িপাল্লায় চাপিয়ে দেওয়া বোধহয় ঠিক নয়। ওঁদের সমীকরণ সবচেয়ে ভাল ওঁরাই বলতে পারবেন।