সিনেমাকে চিরতরে বিদায় দেওয়া ‘দঙ্গল কন্যা'(Dangal) জাইরা ওয়াসিমও(Zaira Wasim) হিজাব নিয়ে উদ্বেগ গোপন করেনি। কাশ্মীরি এই হিজাবি কন্যা একটি দীর্ঘ টুইট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ” ইসলামে হিজাব কোনও পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নয় এটি একটি বাধ্যবাধকতা। একইভাবে, একজন মহিলা যিনি হিজাব পরেন তিনি তা তাঁর বাধ্যবাধকতা থেকেই পরেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাঁর এই হিজাব।তাঁর কাছে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। আমি কৃতজ্ঞতা এবং নম্রতার সঙ্গে হিজাব পরি। এখন কেবল হিজাব পরার জন্য মহিলাদের হেনস্থা ও নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে। শিক্ষা ও হিজাবের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে মুসলিম ছাত্রীদের বাধ্য করা হচ্ছে। এটি একটি অবিচার ছাড়া কিছু নয়। আপনারা একজন মুসলিম মহিলার পছন্দকে নিৰ্দিষ্ট করে দিচ্ছেন। তাঁর সেই পছন্দ যদি আপনাদের স্বার্থ সিদ্ধি করে তবে তাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তা না হলেও তার সমালোচনা হচ্ছে। আপনাদের কথা মাফিক না চললেই জেল। যারা মেয়েদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তাদের পক্ষপাতদুষ্ট না বলে আপনি কি বলবেন বলতে পারেন ? সর্বোপরি যা চলছে, মেয়েদের ক্ষমতায়নের অট্টালিকরা কথা বলে যা করা হচ্ছে, আসলে তা ঠিক তার বিপরীত। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
হিজাব মামলার শুনানি চলছে। সুপ্রিম কোর্টের আশংকা সত্যি করে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে হিজাব আন্দোলন। অনেকেই হিজাবকে আজকাল প্রতিবাদের পোশাক হিসাবে দেখছেন । যারা হিজাব পড়েন না এমন মুসলিম মহিলারাও হিজাবের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেছেন। তাদের বক্তব্য, এইভাবে কারও স্বাধীনতা হরণ করা যায় না। এটি মৌলিক অধিকারের বিরোধী। কিন্তু কে শোনে কার কথা। যেখানে মানুষের চেতনার বিকাশ হয় সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই আসছে বাধা। হিজাবের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে বোরকাকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। হিজাব হল একখানি বস্ত্রখণ্ড। যা দিয়ে একটি মেয়ে তার মাথা ও বক্ষদেশ আলাদা করে ঢেকে রাখে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোথায় অসুবিধা হচ্ছে তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না।