ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার থেকে টাকা নিয়ে, শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে না আসার অভিযোগ উঠেছিল বলিউড অভিনেত্রী জারিন খানের বিরুদ্ধে। মামলা ওঠে শিয়ালদহ আদালতে। গত ১১ ডিসেম্বর সশরীরে আদালতে হাজিরা দিয়ে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন। মঙ্গলবার আবার আদালতে হাজিরা দিতে এলেন বলিউড অভিনেত্রী।
২০১৮ সালে কালীপুজোয় বাংলায় অনুষ্ঠান করতে আসার কথা ছিল জারিনের। উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতা মিলিয়ে মোট ৬টি জায়গায় অনুষ্ঠান করার কথা ছিল তাঁর। এই অনুষ্ঠানগুলির আয়োজনের দায়িত্বে থাকা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার অভিযোগ, তাদের থেকে পারিশ্রমিক বাবদ সাড়ে ১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন জারিন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরেও অনুষ্ঠান করতে আসেননি তিনি।
কলকাতার নারকেলডাঙা থানায় জারিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই চার্জশিট খতিয়ে দেখে আদালত অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
১১ ডিসেম্বর আর্থিক প্রতারণার মামলাতেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন জারিন। সেদিন শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক শুভজিৎ রক্ষিতের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আইনজীবী পবন আগরওয়াল আদালতে জারিন খানের জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জারিন খানকে ৩০ হাজার টাকার বন্ডে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। জামিন দেওয়ার সময় বলেছিলেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যেতে পারবেন না জারিন। প্রতিটি শুনানিতে অভিনেত্রীকে আদালতে হাজির থাকতে হবে। ২৬ ডিসেম্বর সেই মামলারই শুনানি ছিল।
২০১০ সালে সলমন খানের বিপরীতে ‘বীর’ ছবি দিয়েই বলিউডে পা রাখেন জারিন। সলমনের হাত ধরেই হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন তিনি। তবে পরপর বেশ কয়েকটি ছবি করেই বলিউড থেকে প্রায় উধাও হয়ে যান।