শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়াতেই নয়, মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে এখন অনেকেই মোটামুটি সারা বছর খুশকির সমস্যায় ভোগেন। খুশকির জন্য আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত চুল ঝরে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, মাথার ত্বকে (স্ক্যাল্প) নানা রকমের সংক্রমণে জন্যেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দায়ি এই খুশকি(Dandruff)। তাই সঠিক সময়ে খুশকির সমস্যার ঠাকাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলেই চুল অকালেই ঝরে গিয়ে মাথা ‘গড়ের মাঠ’ হয়ে যেতে পারে(Hair problem)!
খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাজারে নানা ধরনের শ্যাম্পু বা লোশন পাওয়াই যায়। তবে সেগুলিতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে উল্টে চুলেরই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সামান্য খরচে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই খুশকির সমস্যার সমাধান করুন। জেনে নিন তার উপায়গুলি…
টকদই: খুশকির সমস্যা থেকে বাচঁতে টকদই অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। খুশকি দূর করতে মাথার ত্বকে টকদই দিয়ে ভালভাবে মালিশ করুন। এর পর মিনিট দশেক রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই ভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করে দেখুন। উপকার পাবেন।
মেথি: ২-৩ চামচ মেথি সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে ভাল করে বেটে নিন। ছেঁকে নেওয়া জল ফেলে দেবেন না। এ বার মেথি বাটা চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে দিন। এর পর শুকিয়ে গেলে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভেজানো জল দিয়ে আরও একবার চুল ধুয়ে নিন। এ ভাবে সপ্তাহে দু’বার মেথি ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা দ্রুত দূর হবে।
চা গাছের তেল এবং ভার্জিন নারকেল তেল :একটি মিক্সিং বাটিতে, ৫-১০ ফোঁটা টি ট্রি অয়েলের সাথে ৫ টেবিল চামচ ভার্জিন কোকোনাট অয়েল মেশান। এই পুষ্টিকর মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
আপেল সিডার ভিনেগার : ২-৩ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার সমান অংশ জলের সাথে একত্রিত করুন। এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলে লাগান এবং ৩-৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।তারপর ধুয়ে নিন।
নিম পাতা: প্রায় ১০-১৫ টি নিম পাতা নিন এবং ফুটন্ত জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপরে আপনি এটি একটি সূক্ষ্ম পেস্টে পিষে নিতে পারেন এবং ১-২ টেবিল চামচ দই মেশান।৩০ মিনিটের জন্য এই হেয়ার মাস্কটি প্রয়োগ করুন এবং তারপরে ধুয়ে ফেলুন।