কেউ টিনএজার, তো কেউ আবার মধ্যবয়সী। এমনকী, বাদ গেল না ১৩ বছরের বালকও! গুজরাটে নবরাত্রি উৎসব পালন করতে গিয়ে ২৪ ঘণ্টায় করতে প্রাণ গেল ১০ জনের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনুষ্ঠানস্থলের কাছে সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।।
গরবায় (Garba) নাচতে নাচতেই হার্ট অ্যাটাক। মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ১৭ বছরের কিশোর। কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের কাপাদগঞ্জ খেদা জেলায়।
বীর শাহ নামের ওই তরুণ কাপাদগঞ্জ জেলার একটি গরবার অনুষ্ঠানে সকলের সঙ্গেই নাচে মেতে উঠেছিল। হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যায় সে। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারায়। সঙ্গে সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবীরা তাঁকে দেখতে পায়। এবং শুশ্রূষার চেষ্টাও করে। তাতে সাড়া না মেলায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ৩ বার সিপিআর দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। ওই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। ওই এলাকার গরবা অনুষ্ঠানও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গুজরাটের বিভিন্ন প্রশাসনিক মহল সূত্রে খবর, নবরাত্রির আগে ছয় দিন ১০৮ অ্যাম্বুল্যান্স এমার্জেন্সি সার্ভিসে ৫২১টি ফোন এসেছে, যেখানে হার্ট সম্পর্কিত কারণে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় সাহায্য চেয়ে এসেছে ৬০৯টি ফোন। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ২টোর মধ্যে এই ফোনকলগুলি এসেছে যে সময় গোটা গুজরাট গরবাতে মেতে থাকে।
আর এই তথ্যগুলি সামনে আসার পরই সরকার এবং প্রশাসনের তরফে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হয়। সমস্ত গরবা ভ্যেনুর আশেপাশের হাসপাতাল এবং কমিউনিটি হেলথ সেন্টারগুলিকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যদি কোনও এমার্জেন্সি ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে কাউকে যাতে গরবার ভ্যেনু থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় সেজন্য অ্যাম্বুল্যান্সকে রাস্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আয়োজকদের।