আবারও লখিমপুরের খেরি (Lakhimpur Rape)। আবারও হাড়হিম করা ঘটনায় স্তব্ধ দেশ। ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে গলা টিপে খুন করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে। চার যুবক মেয়েটির ওপরে পৈশাচিক নির্যাতন চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা বলছেন, ধর্ষণের পরে মেয়েটিকে মারধর করা হয়, তারপর গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ঘটনায় মেয়েটির দিদি, অভিযুক্ত চার যুবক সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
লখিমপুর খেরির (Lakhimpur Rape) পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন বলছেন, ধৃতদের বয়স ১৮-১৯ বছর। মঙ্গলবার আখের ক্ষেত থেকে ওই নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা ঘটনাই মেয়েটির বড় দিদির চোখের সামনে ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এমনকি সবটাই তার দিদির পরিকল্পনা ছিল বলেও দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, দিদির একাধিক সম্পর্কের কথা বোন জানতে পেরেছিল। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল কিশোরী। তার জেরে দুই বোনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। অভিযোগ, শৌচকর্মের অছিলায় মঙ্গলবার রাতে বোনকে সঙ্গে করে কাছের একটি আখ খেতে নিয়ে যান দিদি। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন রঞ্জিত চৌহান, অমর সিং, অঙ্কিত এবং সন্দীপ চৌহান নামে চার যুবক।
আরও পড়ুন: BJP: সব ছাত্রীকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ অধ্যক্ষের! বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই ইস্তফা
অভিযোগ, এর পরই কিশোরীকে ওই চার জন মিলে গণধর্ষণ করেন। ঘটনাটি যখন ঘটছিল, সেই সময় পাহারা দিচ্ছিলেন কিশোরীর দিদি এবং দীপু চৌহান ও অর্জুন নামে আরও দুই যুবক। গণধর্ষণের পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কিশোরীকে তারই ওড়না দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করেন তার দিদি এবং ছয় যুবক। তার পর আখ খেতেই কিশোরীর দেহ ফেলে রেখে চুপচাপ সেখান থেকে চলে যান অভিযুক্তরা।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে গ্রামবাসীদের কয়েক জন ওই কিশোরীকে খেতের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশের প্রথমে সন্দেহ হয় কিশোরীর দিদির উপর। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। শুধু তাই-ই নয়, এই ঘটনায় যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁদেরও হদিস পায় পুলিশ। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা সকলেই তাঁদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।