হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। তিন মাস কেটে গিয়েছে, এখনও অশান্তি থামার নাম নেই। এরমধ্যেই লজ্জাজনক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এল। বিবস্ত্র করে দুই মহিলাকে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একদল পুরুষ (Video shows two women paraded naked by mob during riot in Manipur on May 4)৷ তার মধ্যেও দুই মহিলাকে ক্রমাগত হেনস্থা ও শারীরিক নির্যাতন চলছে৷অভিযোগ, ওই দুই মহিলাকে পরে একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণও করা হয়। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। শাসক থেকে বিরোধী, সমস্ত রাজনৈতিক দলই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের করেছে পুলিশ। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।
সোশাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে অশান্ত হয়েছে গোটা দেশ। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্র টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে একটি নির্দেশ জারি করেছে। বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমকে ভারতীয় আইন মেনে চলতে হবে। কারণ এই বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন।
থৌবল জেলার এই ঘটনা ঘটে চলতি বছরের মে মাসের ৪ তারিখ। থানায় অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র দুষকৃতীদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়। ভিডিও-তে অভিযুক্তদের দেখা গেলেও আড়াই মাস পরও কেউ ধরা না পড়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এরপরই আজ সকালে থৌবল জেলা থেকেই মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়।
এদিকে, এই ঘটনায় তিনি ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মণিপুরের যে ঘটনা সামনে এসেছে, তা যে কোনও সভ্য সমাজের কাছে লজ্জার। মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। যে রাজ্য সরকারই হোক, মা-বোনদের সুরক্ষায় প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলব। কাউকে ছাড়া হবে না। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে। মণিপুরের ভিডিও নিয়ে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।
মণিপুরকাণ্ডে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ কংগ্রেসের। এই ঘটনায় মন্ত্রীর মেয়ে আক্রান্ত হলে কী করতেন? শুধু ট্যুইট করে দায় সারছেন স্মৃতি ইরানি! সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে তোপ মহিলা কংগ্রেস নেত্রী নেত্তা ডিসুজার।
পাশাপাশি, মণিপুরের ঘটনায় কড়া অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট। অসন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সরকার পদক্ষেপ না করলে, স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ, হুঁশিয়ারি দিল সর্বোচ্চ আদালত। ঘটনার রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এ নিয়ে শুনানি।