এবার সেনাঘাঁটিতেই আত্মঘাতী হামলা চালাল জঙ্গিরা। ২০১৮ সালের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের কোনো সেনা ক্যাম্পে এটিই প্রথম বড় হামলা। এই হামলাকে ‘আত্মঘাতী’ হামলা বলেও দাবি করা হয়েছে।উসকে দিল পাঠানকোটের স্মৃতি। বৃহস্পতিবার সকালেই জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে একটি সেনাঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। শহিদ হয়েছেন তিন জওয়ানও। কমপক্ষে ৫ জন জওয়ান আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাজৌরি টাউন থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। আচমকা সেনাশিবিরে ঢুকে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেন জওয়ানরা। সেনা সূত্রে খবর, বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলা লড়াইয়ের পর দুই আত্মঘাতী জঙ্গি নিহত হয়েছে। শহিদ হয়েছেন তিন জওয়ান। ওই এলাকায় আরও সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এক সেনাকর্তা বলেন, ‘আশপাশের এলাকায় আরো কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুকেশ সিং বলেন, পরগল সেনা ক্যাম্পের সীমানা পার করে কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। এ সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলি হয়। এতে ২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা পাকিস্তান জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইয়েবার সদস্য। তবে ওই এলাকায় সম্প্রতি জইশ-ই-মহম্মদের তৎপরতাও বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
বুধবার উপত্যকায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছক বানচাল করে সেনাবাহিনী। পুলওয়ামায় (Pulwama) উদ্ধার করা হয় ৩০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় স্বাধীনতার দিবসের প্রাক্কালে অল্পের জন্য এড়ানো যায় ২০১৯ সালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পুনরাবৃত্তি। কিন্তু আজ ফের সেনাশিবিরে জঙ্গি হামলায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে নিরাপত্তা মহলে।