কয়েক দশক আগে আটজন বিশিষ্ট শিল্পীকে সরকারি আবাসন (Eviction) দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৪ সালে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, তাঁদের আর ওই আবাসনে থাকতে দেওয়া হবে না। সম্প্রতি তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২ মে-র মধ্যে আবাসনগুলি খালি (Eviction) করে দিতে হবে। ইতিমধ্যে যাঁদের উচ্ছেদ (Eviction) করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন ৯০ বছর বয়সী ওড়িশি নৃত্যশিল্পী গুরু মায়াধর রাউত। তিনি অতীতে পদ্মশ্রী খেতাব পেয়েছিলেন।
বুধবারই সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ছেড়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি। যা দেখে কেন্দ্রের নিন্দায় সরব নেটিজেনরা। শিল্পীর মেয়ে মধুরিমা রাউত বলেন, যেভাবে তাঁর বাবাকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, তা খুবই আপত্তিকর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার শিল্পীদের সম্মান দেয় না। তাঁর দাবি, সরকার হয়তো ২০১৪ সালে শিল্পীদের উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তা জানানো হয় ২০২০ সালে। এই উচ্ছেদের পিছনে রাজনীতি আছে। কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী শিল্পীদের আবাসন দিয়েছিলেন। বিজেপি সরকার তা কেড়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: উত্থানের পরদিন আবারও সস্তা হল সোনা ও রুপোর দাম, কলকাতার বাজারে কত দর?
কয়েক জন এখনও দিল্লির সরকারি আবাসন আঁকড়ে রয়েছেন। তবে তাঁদেরও ২ মে- মধ্যে ছাড়তে হবে ঘর। কিন্তু কেন শিল্পীদের এভাবে ঘরছাড়া করছে কেন্দ্র?
মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার কম এমন সর্বোচ্চ ৪০ জন শিল্পীর জন্য থাকার বন্দোবস্ত করতে পারে সংস্কৃতি মন্ত্রক। ১৯৮৭ সালে ২৮ জন শিল্পীকে সরকারি আবাসনে থাকার ব্যবস্থা করেছিল তৎকালীন সরকার। তার পর গঙ্গা-যমুনা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমান সরকারের দাবি, ওই শিল্পীদের ২০১৪ সালে সরকারি আবাসনে থাকার মেয়াদ ফুরিয়েছে। তার পরেও তাঁরা বাড়ি ছাড়েননি। উলটে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুরু মায়াধর রাউত, শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী রীতা গঙ্গোপাধ্যায়, মোহিনীনাট্যম শিল্পী ভারতী শিবাজি, কুচিপুরী শিল্পী গুরু ভি জয়রাম রাও, মায়াধার রাউতরা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এপ্রিলের শেষে তাঁদের সরকারি আবাসন খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো ঘর ফাঁকা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Murder: ঝগড়ার মাঝে টুঁটি কামড়ে ধরলেন স্ত্রী! শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু স্বামীর