প্রায় ৩০ বছরের কর্মজীবনে তিনি ৬০ জনেরও বেশি ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ! কেরলের মলপ্পুরম জেলার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তথা স্থানীয় পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর কেভি শশীকুমারকে একাধিক নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল কেরলের মলপ্পুরম জেলা। মলপ্পুরমের সেন্ট জেমস গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে দীর্ঘ 30 বছর ধরে শিক্ষকতার পদ সামলে চলেছিলো শশী কুমার। গত মার্চ মাসেই সে দীর্ঘ ত্রিশ বছরের কেরিয়ারে ইতি টানে বলে জানা গিয়েছে। তবে শিক্ষকতার আড়ালে শশী কুমার যে ঘৃণ্য কাজ করে চলত, ঘুণাক্ষরেও তার টের পায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বিদ্যালয়েরই এক ছাত্রী সর্বপ্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় শশী কুমারের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সামনে আনে আর এরপর থেকেই একের পর এক ছাত্রী মিলে মোট 60 জনেরও বেশি পড়ুয়া তার বিরুদ্ধে পুলিশে মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: Minority Status: হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ মর্যাদা দিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আরও সময় চাইল কেন্দ্র
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতাদের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তারা দ্রুত তদন্তে নামে এবং বর্তমানে শশী কুমারের বিরুদ্ধে একাধিক নিগ্রহের অভিযোগ সামনে এসেছে। তিনবারের সিপিএম কাউন্সিলর হওয়ায় এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী হিসেবেই পরিচিত ছিল সে আর সেই প্রভাব খাটিয়ে এতদিন সকল অভিযোগ ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল বলেই মত এলাকাবাসীদের।
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে সিপিএম নেতার খোঁজে এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালায় পুলিশ আর শেষ পর্যন্ত গতকাল মলপ্পুরম থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে শশী কুমারের বিরুদ্ধে পকসো আইন সহ অন্যান্য একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসার পর কেরলের শিক্ষা মন্ত্রী পুলিশকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত করে দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: Delhi Fire: কেউ জানলা ভেঙে দিলেন ঝাঁপ, কেউ বা ঝুলছেন ক্রেনে… দেখুন বিভীষিকার মুহূর্ত