পুরো উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এমনটাই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে দাবি করলেন, তাঁর সরকারের আমলে উত্তর-পূর্ব ভারতে ৭৫ শতাংশ হিংসাত্মক ঘটনা কমে গিয়েছে।‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর চেতনায় উজ্জ্বীবিত কেন্দ্রীয় সরকার অসমের সীমান্ত সমস্যার সমাধান খুঁজেছে। বৃহস্পতিবার অসমে এমনটাই দাবি করলেন নরেন্দ্র মোদী।
বেশ কয়েক দশক পর নরেন্দ্র মোদীর জমানায় কেন্দ্রীয় সরকার অসম, মণিপুর, নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এই সময়সীমা। এই আফস্পা প্রত্যাহার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।
বৃহস্পতিবার করবী অ্যাঙ্গলঙের লরিংথেপির জনসভায় মোদী বলেন, ‘দীর্ঘদিন উত্তর-পূর্ব (ভারতের) একাধিক রাজ্য আফস্পার অধীনে ছিল। কিন্তু গত আট বছরে স্থায়ী শান্তি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য এই অঞ্চলের কয়েকটি জায়গা থেকে আইনের ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।’ মোদী বলেন, ‘জঙ্গিপনা ছেড়ে গত বছর কার্বি আংলং-এর বেশ কয়েকটি সংগঠন শান্তি ও উন্নয়নের সংকল্পে যোগ দিয়েছে। ২০২০ সালের বোড়ো চুক্তি শান্তির দরজা খুলে দিয়েছে।’
Addressing the ‘Peace, Unity and Development Rally’ in Diphu, Assam. https://t.co/l1UfNfgd9c
— Narendra Modi (@narendramodi) April 28, 2022
মোদীর কথায়, ‘অসমে তিন দশক ধরে বাহিনী ছিল। অতীতে অনুন্নয়নের জন্য সরকারের তরফে বারবার বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদ বাড়ানো হত। কিন্তু গত কয়েক বছরে তৃণমূল স্তরে উন্নয়নের জন্য অসমের ২৩ টি জেলা থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা রাজ্যের অন্যান্য জায়গার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে সেখান থেকে আফস্পাও প্রত্যাহার করা যায়। একইভাবে নাগাল্যান্ড এবং মণিপুর (দু’রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় এখনও আফস্পা কার্যকর আছে) থেকেও সেই আইন প্রত্যাহারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’