শ্রদ্ধা ওয়ালকার (Shraddha Walker) হত্যায় মুল অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালাকে (Aftab Poonawalla) বৃহস্পতিবার ৬-৭ ঘন্টার পলিগ্রাফ পরীক্ষার (Polygraph Test) সময় জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কীভাবে এই অপরাধ ঘটান। সূত্রের খবর অনুসারে কীভাবে তিনি খুন করেন লিভ-ইন পার্টনারকে এই প্রশ্ন ছাড়াও আফতাবকে তার শৈশব ও পরিবার নিয়ে প্রশ্ন থেকে শুরু করে আফতাব কোথায় কোথায় খুনের প্রমাণ লুকিয়ে রেখেছিলেন, এমন প্রশ্নও করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাড়ে নয় ঘণ্টা ধরে পলিগ্রাফ টেস্ট চলার পর আচমকাই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে আফতাব পুনাওয়ালা। অসুস্থ হয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার সম্পূর্ণ পরীক্ষা প্রক্রিয়া করা যায়নি। ফলে শুক্রবার আবারও তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। উল্লেখ্য, এর আগের সপ্তাহেও কেবলমাত্র অসুস্থতার অজুহাতে আফতাব পুনাওয়ালার পলিগ্রাফ টেস্ট এবং নারকো টেস্টে বিলম্ব হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Shraddha : শ্রদ্ধাকে ‘আচমকা রাগের মাথায় মেরে ফেলেছি’, আদালতে বলল আফতাব
সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আফতাব অত্যন্ত শান্ত এবং রিল্যাক্সড ছিলেন। কোনও কোনও সময় তাকে বেপরোয়া এবং আত্মবিশ্বাসীও মনে হয়েছে। তবে প্রথমদিকে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেও সন্ধ্যার পর সে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে। ফলে মাঝপথেই থামিয়ে দিতে হয় পলিগ্রাফ টেস্ট। এদিকে, পলিগ্রাফ টেস্টে মূলত আফতাবের সাইকো অ্যানালিসিস করা হয়। যার সাহায্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে শ্রদ্ধার এই লিভ ইন পার্টনারের ব্রেন ম্যাপিং করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আফতাবের হার্টবিট, শরীরে রক্তচাপের মাত্রা মনিটর করা হয়।
অন্যদিকে, উদ্ধার হওয়া ধারালো অস্ত্র সম্পর্কে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা রক্তের নমূনা পরীক্ষা করছি। আফতাব বলেছিলেন যে তিনি বাথরুমে শ্রদ্ধার দেহ ৩০-৩৫ টুকরো করতে দুই-তিনটি ছোট করাত ব্যবহার করেছিলেন। আমরা এখনও সেই অস্ত্র খুঁজে পাইনি। আমরা আফতাবের দাবি খতিয়ে দেখছি।”
আরও পড়ুন: Karnataka: গোপন ক্যামেরায় ১২০০ মেয়ের নগ্ন ভিডিয়ো, গ্রেফতার ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া