অগ্নিপথে নিয়োগের আগে মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে, তারা কখনও কোনও বিক্ষোভে অংশ নেননি। কোনওরকম তাণ্ডবে জড়িত ছিলেন না। সেই বক্তব্যের পুলিশি যাচাই হলে তবেই আগামী চার বছরের জন্য বাহিনীর অংশ হওয়ার সুযোগ পাবেন আবেদনকারীরা। তা না হলে নয়।
রবিবার অগ্নিপথ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সেনাবিভাগের এক শীর্ষকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী। অগ্নিপথে কী প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হবে, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অনিল প্রথমেই স্পষ্ট করে দেন, বিক্ষোভকারী বা বিশৃঙ্খলাসৃষ্টিকারীদের স্থান নেই সেনাাহিনীতে। ‘‘প্রত্যেক আবেদনকারীকে মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে, তাঁরা কোনও বিক্ষোভের অংশ ছিলেন না। পুরনো পুলিশি রেকর্ডের যাচাইও হবে পুরোমাত্রায়।’’ যদিও সেনা কর্তা যখন এই ঘোষণা করছেন, তখনও কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল দেশ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভের অংশ তরুণ প্রজন্মই।
আরও পড়ুন: শতবর্ষে পা হীরাবেন মোদীর, মায়ের পা ধুইয়ে নিলেন আশীর্বাদ নিলেন নমো
এদিন অনিল পুরী বলেন, “এই সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই সংস্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীতে তারুণ্যতে জোর দিয়েই এই প্রকল্প। ১৯৮৯ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সংস্কারের পদক্ষেপ হিসেবেই CDS-এর নিয়োগ করা হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত।” তিনি আরও বলেছেন, “আমাদের সেনাবাহিনীতে আরও বেশি করে যুব সম্প্রদায়কে প্রয়োজন। আগামীদিনে টেকনোলজি নির্ভর যুদ্ধ হবে। তার জন্য আজকের জেনারেশনকে প্রয়োজন, যারা মোবাইল-কমপিউটার নিয়েই বড় হয়েছে। যুব সমাজ সার্বিকভাবেই প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে।”
গত সপ্তাহেই সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের নতুন প্রকল্প অগ্নিপথের ঘোষণা করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। চার বছরের জন্য দেশের সাড়ে ১৭-২৩ বছর বয়সি তরুণদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে এই প্রকল্পে। তারপর থেকেই অগ্নিপথ প্রকল্পের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পথে নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, এই প্রকল্পে দেশের তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা না দিয়েই যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। যদিও রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই কর্তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যা-ই ঘটুক তাঁরা অগ্নিপথ নিয়ে পিছু হঠবেন না। প্রকল্প প্রত্যাহার করবেন না। বরং অগ্নিপথে কবে, কীভাবে নিয়াগ প্রক্রিয়া শুরু হবে, কবে অনলাইন পরীক্ষা হবে তার বিশদ রবিবারই জানিয়ে দিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল।
আরও পড়ুন: Assam Flood: অসমে বন্যায় মৃত বেড়ে ৬২, মেঘালয়ে মৃত কমপক্ষে ৪২