৩৭০ ফেরানোর পর কাশ্মীর নাকি একেবারেই শান্ত হয়ে গিয়েছে। মোদী বাহিনী লাগাতার সে কথা প্রচার করেছে।সেখানকার সার্বিক উন্নয়নের সোনালী ছবিও ফেরি হয়েছিল দেশের যদি মিডিয়ায়।এখন আবার মোদী নিজেই ইতালি উড়ে যাওয়ার আগে বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ দমন করতে পূর্ণশক্তি প্রয়োগ করতে হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক করেন মোদী। সেই বৈঠকেই কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর কথা বলা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে পর পর বেশ কিছু জঙ্গি হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে কাশ্মীর। সেই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক এবং কাশ্মীরের শান্তিরক্ষায় পূর্ণশক্তি প্রয়োগের নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
অনেকে বলছেন ভোট চলাকালীন এমন একটা ঘটনা হতো বিজেপির মাইলেজ বাড়াতে পারতো। কিন্তু এখন সত্যি এমন ঘটনায় চাপে এবং অস্বস্তিতে মোদী নেতৃত্বাধীন এনডিএ।এমন সংকট মোচনে ভরসা সেই ইন্ডিয়ান বন্ড দোভাল।জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে বহাল রইলেন অজিত ডোভাল। তৃতীয়বারের জন্য তাঁকেই ওই পদে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মোদির মন্ত্রিসভা। ১০ জুন থেকেই তাঁর নিয়োগ কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে। দীর্ঘ সাঁইত্রিশ বছর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীতে কাটিয়ে ‘ভারতের জেমস বন্ড’ হয়ে ওঠা ডোভাল ২০১৪ সাল থেকেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে রয়েছেন।
গত কয়েক দিনে সেখানে কী কী ঘটেছে, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা কী কী করেছেন, তার খতিয়ান দেওয়া হয় মোদীর কাছে। সূত্রের খবর, এর পরেই প্রধানমন্ত্রী জানান, যে কোনও মূল্যে কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে হবে। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় যা যা করা প্রয়োজন, তা করতে হবে। পূর্ণশক্তি প্রয়োগ করে কাশ্মীরে জঙ্গিদমনের নির্দেশ দিয়েছেন মোদী।
সূত্রের খবর, কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহের সঙ্গেও কথা বলেছেন মোদী। উপত্যকায় আরও বেশি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা এবং জঙ্গিদমনমূলক অভিযানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। শান্তি বজায় রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন কী কী করছে, তা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন মনোজ।
তাহলে কি কাশ্মীর যেখানে ছিল সেখানেই আছে ? তাহলে রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদা ছিনিয়ে মিলল কি ? এর জবাব দেওয়ার লোক নেই। আইটি সেল বসে আছেন মোদী বাহিনীর বাণীর দিকে চেয়ে। বিরোধীরা অনেকে বলছেন গত ১০ বছরে মোদী কেবল বিদ্বেষী রাজনীতি না করে এবং আপন আধিপত্যের গেহরাতপ বাড়ানোর চেষ্টা না করলে বহু সমস্যা সমাধান হতে পারতো। দেশের জনগণ অনেকে তেমন জ্ঞ্যাদেশ দিয়েই পাঠিয়েছিল। কিন্তু তিনি সব কিছুর উর্দ্ধে কেবল না নিজেকে তুলে ধরতে গিয়ে কেবল স্তাবক পরিবেষ্টিত হয়েছেন।দেশকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন একনায়কতন্ত্রের দিকে। সমস্যা সেখানেই। এই ধাক্কা থেকে আদৌ তিনি কিছু শিখলেন কিনা তা সময় বলবে আপাতত দেখে যাওয়া দেশবাসীর হাতে উপায় নেই।