ধর্ষিতা মাঙ্গলিক কি না, তা জানাতে জ্যোতিষ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই ‘অপ্রাসঙ্গিক’ নির্দেশকে খারিজ করে বিচারের দরবারকে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচাল সুপ্রিম কোর্ট।
আদালতে নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল তাঁর সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছেন অভিযুক্ত। মামলা ওঠে হাই কোর্টে। অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন অভিযোগকারিণী মাঙ্গলিক বলে তাঁর মক্কেল বিয়ে করতে রাজি হননি। মাঙ্গলিক ‘দোষ’ থাকলে বিয়ে সুখের হয় না। আইনজীবীর এই সওয়ালের পর নির্যাতিতা মাঙ্গলিক কি না জানতে রিপোর্ট চায় হাই কোর্ট। পাশাপাশি অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেয়।
সেই সঙ্গে এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল জন্মছক লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্য়াস্ট্রোলজি ডিপার্টমেন্টে জমা দিতে হবে। এমনকী মুখবন্ধ খামে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
গত ২৩ মে আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। শনিবার হাই কোর্টের ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তলের অবকাশকালীন বেঞ্চ জানায়, জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করবে না সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি হাই কোর্টের এমন নির্দেশ দেওয়া উচিত হয়নি বলে পর্যবেক্ষণে জানাল শীর্ষ আদালত।
বিচারপতির কথায়, ‘‘এই বিষয়টির সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। আর কেউ মাঙ্গলিক কি না, জানতে চাওয়া ওই ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘনের বরাবর।’’ হাই কোর্টের নির্দেশ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এ-ও বলে, ‘‘জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুযায়ী কী করতে হবে বা হবে না, আমরা তা নিয়ে ভাবিত নই। আমরা শুধু মামলার বিচার করতে বসেছি।’’ পাশাপাশি কেন হাই কোর্ট এমন নির্দেশ দিল তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।