২০২২ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার লড়াইয়ে আছেন ফ্যাক্ট-চেক বা সত্য অনুসন্ধানমূলক খবরের ওয়েবসাইট ‘অল্ট নিউজ’-এর দুই প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেইর এবং প্রতীক সিনহাও। টাইম ম্যাগাজিনের সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
আগামী শুক্রবার (৭ অক্টোবর) নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, এবার শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে ৩৪৩ জন প্রার্থী আছেন। যা নোবেলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তাঁদের মধ্যে ২৫১ জন একক ব্যক্তি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। মনোনয়ন পেয়েে ৯২ টি সংগঠনও। তবে কারা মনোনয়ন পেয়েছেন এবং কারা মনোনীত করেছেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য দীর্ঘদিন গোপন রাখা হয়।
সেই পরিস্থিতিতে টাইমস ম্যাগাজিনে নোবেল শান্তি পুরস্কারে জয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকা সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। টাইমসের তরফে জানানো হয়েছে, নরেওয়ের আইনপ্রণেতার থেকে পাওয়া তথ্য, বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস এবং অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যের ভিত্তিতে সেই ‘ফেভারিট’-র তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ের ক্ষেত্রে ‘ফেভারিট’-র তালিকায় আছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, অ্যালেক্সি নাভালনি (রাশিয়ার বিরোধী নেতা এবং দুর্নীতিবিরোধী সমাজকর্মী), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুবেইর এবং প্রতীক। টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নিরলসভাবে ভারতে ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন তথ্য যাচাইকারী ওয়েবসাইট অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেইর এবং প্রতীক সিনহা।’
আরও পড়ুন: রাওয়তের মৃত্যুর ন’মাস পরে উত্তরসূরি, নয়া সেনা CDS অনিল চৌহান
টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘সিনহা এবং জুবেইর পদ্ধতিগতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত গুজব ও ভুয়ো খবরের ফাঁস করে দিচ্ছেন এবং ঘৃণামূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।’ জুবেইরকে গ্রেফতারির বিষয়টিও টাইম ম্যাগাজিনের ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জুবায়েরের গ্রেফতারির ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সাংবাদিকরা।
পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টরের ব্যক্তিগত তালিকায় রয়েছেন সাহিত্যিক হর্ষ মন্দার-ও। বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে হর্ষের সংগঠিত ‘কারওয়ান-এ-মহব্বত’ (ক্যারাভান অব লাভ) ক্যাম্পেনের মাধ্যমে তিনি সাম্প্রদায়িক হিংসা ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
এর আগে ভারতীয় হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন মাদার টেরেজা ও কল্যাণ সত্যার্থী। ২০১৪ তে শিশু সুরক্ষাও শিশুদের শিক্ষার আলো দেখানোর জন্য নোবেল পান সত্যার্থী। এ ছাড়া, ২০১৯-এ অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থনীতিতে বাঙালি হিসেবে নোবেল পেয়েছিলেন অমর্ত্য সেনও। তবে নোবেল প্রাপকদের তালিকায় প্রথম বাঙালির নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এ ছাড়াও যেসব ভারতীয় নোবেল পেয়েছেন তাঁরা হলেন, রোনাল্ড রস, জোসেফল রুডইয়ার্ড কিপলিং, চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরামণ, হরগোবিন্দ খুরানা, সুব্রহ্মণ্য চন্দ্রশেখর ও ভেঙ্কটরামণ রামকৃষ্ণণ।