আগামী ৭ মে তৃতীয় দফা ভোটের দিন গুজরাটের গান্ধীনগরে ভোট। তার আগে শুক্রবার মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন গান্ধীনগরের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী অমিত শাহ। আর তারপর থেকে চর্চায় উঠে এসেছে অমিত শাহের হলফনামা।
অমিত শাহের জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তাঁর কোনো নিজস্ব গাড়ি নেই। মাথায় কোটি টাকার ঋণের বোঝা। তাঁর আয়ের মূল উৎস সাংসদ হিসেবে বেতন এবং বাড়ি ও জমি থেকে প্রাপ্ত ভাড়া। শেয়ার থেকে কিছু টাকা আয় হয়। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি অপরাধমূলক মামলাও রয়েছে বলে উল্লেখ আছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হলফনামায়।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শাহ মোট ৩৬ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। তাঁর স্থাবর সম্পত্তি ১৬ কোটি টাকার। অস্থাবর সম্পত্তি ২০ কোটি টাকার। এর মধ্যে রয়েছে বসত বাড়ি, কিছু কৃষিজমি। এর মধ্যে রয়েছে ৭২ লক্ষ টাকার গয়না। হলফনামায় নিজের পেশা হিসাবে ‘কৃষিজীবী’ লিখেছেন শাহ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে শাহ নিজের রোজগার হিসাবে দেখিয়েছেন ৭৫.০৯ লক্ষ টাকা। রোজগারের উৎস মন্ত্রী হিসাবে বেতন, বাড়ি ভাড়া এবং কৃষিজমি থেকে লভ্যাংশকে দেখিয়েছেন। শাহের নামে ঋণ রয়েছে ১৭ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকার।
সম্পত্তির নিরিখে শাহের থেকে পিছিয়ে নেই তাঁর স্ত্রী সোনাল শাহও। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২২.৪৬ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি। এর মধ্যে গয়নাই রয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার। শাহের স্ত্রী সোনালের স্থাবর সম্পত্তি ৯ কোটি টাকার। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর আয় দেখানো হয়েছে ৩৯ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা। সোনাল শাহর নামে ঋণ রয়েছে ২৬ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, গুজরাটের গান্ধীনগরে অমিত শাহের আগে ছ’বারের প্রার্থী ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি। প্রথমবার সাংসদ হন ১৯৯১ সালে। ২০১৯ সালে অমিত শাহ এই আসনে পাঁচ লাখের বেশি ভোটে জয়লাভ করেন।