Ankita Bhandari told that she is forced to do something in her Whatsapp to friend

Uttarakhand: ‘আমাকে দেহ ব্যবসার পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে’, মৃত্যুর আগে বন্ধুকে জানিয়েছিলেন অঙ্কিতা

রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতা ভান্ডারী খুনের ঘটনায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে। তাঁকে যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে যে অভিযোগ সামনে আসছিল, সেটাই আরও স্পষ্ট হল তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে। পুলিশ জানতে পেরেছে, অঙ্কিতা তাঁর এক বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছিলেন সে কথা। তিনি বন্ধুকে বলেছিলেন, তাঁকে দেহ ব্যবসার পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ক্রমশ।

তাঁর পাঠানো একটি মেসেজে লেখা রয়েছে, ওরা আমাকে দেহ ব্যবসার পথে ঠেলে দিচ্ছে। রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তাঁর ঠিক কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাঁর বন্ধুকে সেই বর্ণনাও দিয়েছিলেন তরুণি। তাঁর পাঠানো মেসেজের স্ক্রিনশট সামনে এসেছে। সেখানে অঙ্কিতা লিখছেন, ১০ হাজার টাকার জন্য তাঁকে বলা হয়েছে রিসর্টের অতিথিদের ‘বিশেষ পরিষেবা’ দিতে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে ওই মেসেজ অঙ্কিতারই পাঠানো। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফরেনসিক পরীক্ষা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রিসর্টে ১৪ দিন কাজ করার পর থেকেই অস্বস্তি বাড়ছিল অঙ্কিতার। কাজ নিয়ে বিচলিতও ছিলেন। অনন্ত তেমনটাই দাবি করেছেন তরুণীর এক ঘনিষ্ঠ। তাঁর দাবি, কাজের প্রতি এতটাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন যে, ১০ সেপ্টেম্বর এক পরিচিতের কাছে অন্যত্র কাজ খুঁজে দেওয়ার জন্য অনুরোধও করেছিলেন অঙ্কিতা। মাত্র ২২ দিন কাজ করেছিলেন। প্রথম বেতন পাওয়ার আগেই তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে রিসর্ট মালিক তথা উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতার ছেলে পুলকিত ও তাঁর দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: Narendra Modi: মোদীর জন্মদিনে গোটা গুজরাটে সরকারি কর্মীদের বিক্ষোভ, গণছুটিতে স্তব্ধ রাজ্য

হরিদ্বারেরই এক যুবক গত ২৭ অগস্ট এই রিসর্টে সুপারভাইজারের পদে চাকরি পেয়েছিলেন। সেই সুপারভাইজার যুবক অঙ্কিতাকে কাজ শিখতে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু রিসর্টের অন্য কর্মীদের সঙ্গে বিশেষ বনিবনা না হওয়ায় গত ৮ সেপ্টেম্বর কাজ ছেড়ে চলে যান ওই যুবক। সুপারভাইজার ওই যুবক সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন যে, অঙ্কিতা তাঁর কাজ নিয়ে খুবই বিচলিত এবং উদ্বিগ্ন ছিলেন। কাজ ছেড়ে দেবেন বলে ১০ জনকে মেসেজও পাঠিয়েছিলেন।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জলে ডুবে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অঙ্কিতা ভণ্ডারীর। অঙ্কিতার দেহে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। মনে করা হচ্ছে, মৃত্যুর আগে অঙ্কিতাকে আঘাত করা হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের পাউরিতে যমকেশ্বর ব্লকের একটি রিসর্টে কাজ করতেন ১৯ বছর বয়সি অঙ্কিতা। দেহরাদূন থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করার পর বনান্তর রিসর্টে প্রথম চাকরি পান। ভেবেছিলেন এই চাকরির টাকায় ভাল ভাবে সংসার চালাবেন। কিন্তু তার আগেই সব শেষ।

আরও পড়ুন: মথুরা থেকে নির্বাচন লড়বেন Kangana Ranaut! ‘এবার রাখি সাওয়ান্তও রাজনীতিতে আসবেন!’ তাচ্ছিল্য হেমার